বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: বর্তমান বিশ্ববাজারে এক বড়সড় পরিবর্তনের সাক্ষী থাকতে চলেছে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের বাজার। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমতে কমতে এবার ব্যারেল পিছু ৬৩.৪৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা গত চার বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন। কিন্তু হঠাৎ এই দর পতন কেন? আসলে এর পিছনে রয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক কারণ। কিন্তু এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হল, এই দর পতনের প্রভাব কি সরাসরি নাগরিকদের পকেটের উপর পড়বে? জানতে হলে প্রতিবেদনটি পড়ুন।
কেন কমে গেল তেলের দাম?
বেশ কিছু সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তেলের দাম পতনের প্রধান দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিশ্ববাজারে বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। দ্বিতীয়ত ওপেক দেশগুলির যোগদান বাড়ানোর সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে অতিরিক্ত তেলে সরবরাহ হচ্ছে। ফলে দিনের পর দিন তেলের দাম তলানিতে ঠেকছে। সূত্র বলছে, ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম সর্বশেষ এতটা কমেছিল ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে।
দেশের ওপর কী প্রভাব পড়বে?
ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল আমদানিকারক দেশ। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে ভারতের অর্থনীতির চাপ অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানি খরচ কমবে এবং মুদ্রাস্ফীতির হার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। অর্থাৎ, দেশের সামগ্রিকভাবে উপকার হবে। কিন্তু এখন প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের পকেটে এর প্রভাব পড়বে কিনা তা নিয়ে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, “ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিশ্ববাজারে এক চরম অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। যার প্রভাবে সামনে দাম আরো কমতে পারে। এমনকি ৬০ ডলারের কাছাকাছি নেমে আসতে পারে।”
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমা নিঃসন্দেহে ভাল সংবাদ। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের পকেটে এর সুফল কবে পৌঁছাবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।
২০২১ সালের পর বিশ্ববাজারে তেলের দর সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। সোমবার (০৭ এপ্রিল) আটলান্টিক অঞ্চলের ক্রুড অয়েলের মূল্য নির্ধারণকারী প্রধান সূচক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৩.৪৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন ক্রুড অয়েলের মূল্য সূচক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই)ও নতুন নিম্নস্তরে পৌঁছেছে। ডব্লিউটিআইর দাম প্রায় ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাবে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআইর দাম যথাক্রমে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ ও ১০ দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় এ সপ্তাহেও দামপতনের প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।