বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
পার্বতীপুর: বড়পুকুরিয়ায় পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলনের তিন দিনের মাথায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খনির ৫২ কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
খনিতে ৩০০ জন চীনা ও ৪০০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন। এদের মধ্যে ২৪ জুলাই ১৪৩ জন দেশি শ্রমিকের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ২৮ জুলাই ২৯২ জন চীনা ও বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ৩৪ জন চীনা ও দুজন বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আজ শনিবার (৩০ জুলাই) আরও ২৫৩ চীনা শ্রমিকের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
গত ২৭ জুলাই সকাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই এই খনি পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। প্রতিদিন ২৭০০ থেকে ৩০০০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হবে। গত ১ মে উত্তোলনকৃত ১৩১০ নম্বর ফেইজ থেকে মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় এই খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। পরের ফেইজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
পরিত্যক্ত ফেইজের ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও নতুন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসিয়ে ১৩০৬ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করে। নতুন ফেইজ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন করে কয়লা উত্তোলনে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে তিন মাস।
আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে কয়লা উত্তোলনের সময়ও নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় চলমান বিদ্যুৎ সংকটের কারণে দ্রুত কয়লা উত্তোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৭ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় খনির নতুন ফেইজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করে কর্তৃপক্ষ।