বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
পূর্ব সম্মতি ছাড়া ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে মহড়া চালিয়েছে মার্কিন নৌবহর। লাক্ষ্মদ্বীপের পশ্চিমে ১৩০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে আন্তর্জাতিক জলসীমা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারতের পূর্ব সম্মতির অনুরোধ না করেই এই মহড়া চালানো হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই চালানো হয়েছে সেই মহড়া। এনডিটিভি।
এক বিবৃতিতে মার্কিন নৌবাহিনীর সপ্তম বাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লাক্ষ্মদ্বীপের পশ্চিমে ১৩০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে আন্তর্জাতিক জলসীমা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারতের পূর্ব সম্মতির অনুরোধ না করে মহড়া চালিয়েছে। সমুদ্রপথে ভারত যে অত্যধিক দাবি করে, তা চ্যালেঞ্জ করেই সেই মহড়া চালানো হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আইনে প্রদত্ত অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমুদ্রের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে সেই অভিযান চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন নৌবাহিনী।
মার্কিন নৌবাহিনীর সপ্তম বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রে মোতায়েনকারী নৌবহরগুলোর মধ্যে সবথেকে বড়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের হয়ে ভারতকে চাপ দেওয়ার জন্য বঙ্গোপসাগরে যুক্তরাষ্ট্র এই নৌবহরটি পাঠিয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি উপকূলীয় দেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চল তার তীর থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৭০ কিলোমিটার) পর্যন্ত বিস্তৃত এবং ওই অঞ্চলের তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং মাছসহ জলের সব সম্পদের একচেটিয়া অধিকার রয়েছে ওই দেশের। ওই অঞ্চলে যেকোনও সামরিক মহড়ার জন্যে সেই দেশের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
২০১৯ সালে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিকটবর্তী অঞ্চলে চীনা জাহাজকে ভারতীয় জলসীমার মধ্যে প্রবেশ করলে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান জানিয়েছিলেন, কোনও দেশের যদি ভারতের জলসীমায় কোনও নৌমহড়া করতে হয় তবে সেই দেশকে ভারতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
এই বিষয়ে শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পারস্য উপসাগর ও মালাক্কা প্রণালী থেকে ইউএসএস পল জোন্সের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হয়েছে। নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চল দিয়ে নৌযান পরিচালনার বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে মার্কিন সরকারের আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।