দিল্লি: ভারতের টিকা নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে অনেক দেশ। টিকার অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। এরপরে নেপাল। আর এখন শ্রীলঙ্কা।
টিকা রপ্তানি শুরু হলে শ্রীলঙ্কাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে এ ব্যাপারে কথাবার্তাও চলছে।
ভারতে ছাড়পত্র পেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। এই দুই কোম্পানির টিকা কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষ। এই প্রস্তাবে সায় দিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, মার্চ মাসের পর থেকে টিকা অন্যান্য দেশে পাঠানো শুরু করবে ভারত। রপ্তানি শুরু হলে শ্রীলঙ্কাই থাকবে অগ্রাধিকারের তালিকায়।
কোভিড পরবর্তী পর্যায়ে স্বাস্থ্য, অর্থনীতি নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আগ্রহী ভারত। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, টিকা সরবরাহ শুরু হলে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভাল হবে। এই ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী দীনেশ গুনাওয়ারদেনার সঙ্গে আলোচনাও চলছে।
শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের আমলে এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব দীর্ঘ দিন ধরেই চাপে রেখেছিল ভারতকে। ফলে, দিল্লির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল। ক্রমশ চিনের দিকে ঝুঁকে পড়েন রাজাপক্ষে। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপাল সিরিসেনার সময় থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে উদ্যোগী হয় মোদী সরকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তা, সমুদ্র নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ফের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে চাঙ্গা করে তোলার চেষ্টা শুরু করেছে নয়াদিল্লি।
করোনা টিকাকে কেন্দ্র করে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রটিকে আরও প্রসারিত করাই লক্ষ্য। তামিল স্বার্থকে পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া, ভারতের সঙ্গে পরিকাঠামো এবং শক্তি ক্ষেত্রে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া, কৌশলগত মৈত্রীর মতো বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতের ওপর আস্থা বেড়েছে অনেক দেশেরই। নেপালও সম্প্রতি জানিয়েছে, চিনের টিকায় তেমনভাবে ভরসা নেই তাদের। চিনের সিনোভ্যাক টিকার বদলে ভারতের কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড টিকা কিনতেই বেশি আগ্রহী তারা। টিকা কেনার ব্যাপারে দু’দেশের মধ্যেও আলোচনাও হবে বলে জানা গিয়েছে।