দিল্লি: ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ লক্ষ পেরিয়েছে। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও ৯ লক্ষের বেশি। তবে এর পাশাপাশি সুস্থও হয়েছেন প্রায় ৫৬ লাখ মানুষ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী সোমবার ৫ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৬৬,২৩,৮১৫। এখনও পর্যন্ত কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে মোট ১,০২,৬৮৫ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৫,৮৬,৭০৩ জন। ভারতে এখন অ্যাকটিভ কেস ৯,৩৪,৪২৭।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪,৪৪২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯০৩ জনের। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭৬,৭৩৭ জন। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা বেশি।
ভারতে এখন সুস্থতার হার ৮৪.৩৪ শতাংশ। আর মৃত্যুহার ১.৫৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড টেস্ট করা হয়েছে ৯,৮৯,৮৬০ জনের।
বিশ্বের কোভিড পরিসংখ্যানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আমেরিকা ও ব্রাজিল। অন্যদিকে কোভিড সংক্রমণে মৃতের সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের কোভিড পরিসংখ্যানে আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,১৬,৫১৩। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছ ৩৭,৪৮০ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১,১৭,৭২০ জন। মহারাষ্ট্রে অ্যাকটিভ কেস ২,৬১,৩১৩।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭,১৩,০১৪ জন। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫৯৪১ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬,৫১,৭৯১ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৫৫,২৮২।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৩০,৫১৬। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯২১৯ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫,০৮,৪৯৫ জন। কর্নাটকে অ্যাকটিভ কেস ১,১২,৮০২।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬,১৪,৫০৭। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯৭১৮ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫,৫৮,৫৩৪ জন। তামিলনাড়ুতে অ্যাকটিভ কেস ৪৬,২৫৫।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। এখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪,১০,৬২৬ জন। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫৯৭৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩,৫৬,৮২৬ জন। উত্তরপ্রদেশে অ্যাকটিভ কেস ৪৭,৮২৮।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দিল্লি। রাজধানী শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২,৮৭,৯৩০ জন। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫৪৭২ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২,৫৭,২২৪ জন। দিল্লিতে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৫,২৩৪।
-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক