Home অন্যান্য ভারতে হাতি হত্যা ঘটনার নতুন মোড়

ভারতে হাতি হত্যা ঘটনার নতুন মোড়

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

ভারতের কেরালায় বিস্ফোরক ঠাসা আনারস খেয়ে  অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড়  সোশ্যাল মিডিয়া। এর মধ্যেই কেরালার বন কর্মকর্তারা দিলেন নতুন ধারণা। সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বুনো শুয়োর বা ওই জাতীয় প্রাণীকে মারার জন্য অনেক সময়ে জঙ্গলে বসবাস করা মানুষ বিস্ফোরক বা দেশি বোমা ব্যবহার করেন। তাঁদের আন্দাজ, ভুল করে হয়তো সেটিই খেয়ে ফেলেছিল মৃত হাতিটি।

তবে কোথায় এই ঘটনা ঘটেছিল তা নিয়ে অথৈ জলে বনকর্তারা। কেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তাঁরা। মান্নারকড় ফরেস্ট ডিভিশনের কর্মকর্তা কে কে সুনীল কুমার বলেছেন, “হাতিটি কোথায় এই বিস্ফোরক ঠাসা আনারস খেয়েছিল তা সুনির্দিষ্ট করে বলা অত্যন্ত মুশকিল।” তাঁর বক্তব্য, একটি পূর্ণ বয়স্ক হাতি দিনে গড়ে ১০০ কিলোমিটার হাঁটতে পারে। হাতিটিকে যেখানে প্রথম আহত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল সেখান থেকে কতদূরে তা ঘটেছিল তা খুঁজে বের করতেই এখন ঘাম ছুটছে বনকর্তাদের।

পশ্চিমঘাট রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসাররা জানাচ্ছেন, ২৩ মে প্রথম তাঁরা জানতে পারেন মান্নারকড় রেঞ্জের পোট্টিয়ারার কাছে একটি হাতি এসেছে। পৌঁছে দেখা যায় হাতির মুখ রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত। ২৫ মে একটি নদীতে দেখা যায় হাতিটিকে। পশু চিকিৎসকদের বক্তব্য, জ্বালাপোড়া সহ্য করতে না পেরেই হয়তো জলের মধ্যে ঠায় দাঁড়িয়েছিল হাতিটি।

তখনও বিস্ফোরক খাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি। মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তেই জানা যায়, বারুদ ঠাসা আনারস খাওয়ার বিষয়টি। সেইসঙ্গে এও জানা যায়, সে মা হতে চলেছিল।  বনকর্তাদের দাবি, হাতিটি জীবিত থাকা অবস্থাতেই কুনকি (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) হাতি ব্যবহার করা হয় কোথা থেকে সে এসেছে তা বোঝার জন্য। কিন্তু, হাতিটির আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল তাকে বেশিদূর নড়ানো যায়নি।

ইতিমধ্যেই বন্যপ্রাণী আইনে মামলা রুজু হয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন  আশ্বাস দিয়েছেনযারা এই অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।

প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক আশুতোষ সামন্ত বলেন, বনের মধ্যে হাতি বা অন্য পশুদের অমানবিক কায়দায় হত্যার ঘটনা নতুন নয়। দক্ষিণের বহু রাজ্যে প্রায়ই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। বিদ্যুতের তার বিছিয়ে রেখে হাতিদের হত্যা করার নজিরও রয়েছে ভারতে। তাঁর কথায় এই হাতিটির মৃত্যু আলাদা করে হৃদয় বিদারক হওয়ার কারণ সে মা হতে চলেছিল।