বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
পটুয়াখালী: জলমগ্ন জমিতে ভাসমান বেডে সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক মো.শাহাজাদা। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চত্রা গ্রামে কলাগাছের ভেলা ও কচুরিপানার সমন্বয়ে ১৮টি ভাসমান বেড তৈরি করে সবজি চাষ করেন। আগে এই উপজেলাতে বিশেষ পদ্ধতিতে সবজি চাষ হয়নি।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ ও সহযোগিতায় এ বছরই জলাবদ্ধ জমিতে সবজির চাষ করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, বাড়ির পাশের জমিতে পানির ওপর ৩০ হাত লম্বা ও ৪ হাত চওড়া কলাগাছের ভেলায় ৩ হাত উঁচু করে কচুরিপানা স্তরে স্তরে সাজিয়ে ভাসমান বেড তৈরি করা হয়েছে। উন্নত পদ্ধতিতে লাউ, ঝিঙে, বরবটি, লালশাক, ডাটাশাকসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির চাষ। এ প্রদর্শনী তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় আধা লাখ টাকা। ভাসমান বেড পদ্ধতিতে সবজি চাষ করায় সমতল জমি থেকে উৎপাদিত ফসলের চেয়ে কয়েক গুণ লাভ হবে বলে তিনি জানান। ইতোমধ্যে ৬০ হাজার টাকার লালশাক, ডাটাশাক, বরবটি ও শসা বিক্রি করেছেন।
কৃষক মো. শাহাজাদা জানান, এ বছর জলাবদ্ধ জমিতে কলাগাছের ভেলা ও কচুরিপানার সমন্বয়ে ১৮টি ভাসমান বেড তৈরি করে সবজি চাষ করেছেন। বর্ষা মৌসুমে সবজি চাষ করবেন এবং অন্য কৃষকদের এই পদ্ধতিতে চাষে উৎসাহিত করবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ভাসমান বেডে সবজি চাষ একটি লাভজনক প্রযুক্তি। নিচু এলাকায় খাল ও বিলে বর্ষা মৌসুমে (জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত) প্রায় ছয় মাস সাধারণত জলমগ্ন ও পতিত থাকে। জলমগ্ন পতিত জমিতে ফসল চাষ করা সম্ভব না হওয়ায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এটি পরিবেশবান্ধব ও জৈব পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে খুব কম সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করে সবজি উৎপাদন করা যায়।