কিন্তু কেনই বা খাবার না খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বুই? বৃদ্ধা জানিয়েছেন, ১৯৬৩ সালে যুদ্ধের সময় তিনি অন্য মহিলাদের সঙ্গে সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য পাহাড়ে ওঠেন। তখনই শুরু হয় বজ্রপাত। আর সেই কারণেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বেশ অনেকদিন বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ের উপরেই আটকে থাকতে হয়। কিন্তু জ্ঞান ফিরলেও সেই অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি বুই। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”জ্ঞান ফেরার পর থেকে কিছুই খেতে পারতাম না। তখনই আমার বন্ধুরা আমায় মিষ্টি পানীয় খাওয়াতে শুরু করে।’’
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
৫০ বছর ধরে তিনি নরম পানীয় আর পানি ছাড়া কিছুই খাননি। সম্প্রতি ৭৫ বছর বয়সি ওই মহিলার দাবি ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
ভিয়েতনামের বাসিন্দা বুই তি লোই। তাঁর দাবি, ৫০ বছর তিনি খাবারের এক দানাও মুখে দেননি। অথচ তাঁর চেহারা দেখে কিন্তু তা বুঝে ওঠার জো নেই। কোনও খাবার ছাড়া কীভাবে তিনি দীর্ঘদিন বেঁচে রয়েছেন, সেটা ভেবেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা।
কিন্তু কেনই বা খাবার না খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বুই? বৃদ্ধা জানিয়েছেন, ১৯৬৩ সালে যুদ্ধের সময় তিনি অন্য মহিলাদের সঙ্গে সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য পাহাড়ে ওঠেন। তখনই শুরু হয় বজ্রপাত। আর সেই কারণেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বেশ অনেকদিন বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ের উপরেই আটকে থাকতে হয়। কিন্তু জ্ঞান ফিরলেও সেই অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি বুই। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”জ্ঞান ফেরার পর থেকে কিছুই খেতে পারতাম না। তখনই আমার বন্ধুরা আমায় মিষ্টি পানীয় খাওয়াতে শুরু করে।’’
কয়েক দিন পরে বুই ধীরে ধীরে ফল খেতে শুরু করেন। কিন্তু খাবার খাওয়ার পর তাঁর কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছিল। এখনও খাবারের গন্ধ নাকে এলেই বমি পায় বলে দাবি বুইয়ের। ১৯৭০ সাল থেকে তিনি শক্ত খাবার খাওয়া পুরোপুরি ছেড়ে দেন। নরম পানীয়ে চিনি থাকে, সেই থেকেই মহিলার শরীরে শক্তির সঞ্চার হয়।
পড়াশোনার কারণে বৃদ্ধার ছেলেমেয়েরা এখন বাইরে থাকেন। তাই তাঁর বাড়ির অন্য কারও জন্য আর রান্নাঘর ব্যবহৃত হয় না। বর্তমানে বৃদ্ধার রান্নাঘরে শুধুই বিভিন্ন পানীয়র বোতল। তবে রান্নাঘর নয়, বুইয়ের প্রয়োজন শুধুই ফ্রিজ। কারণ ফ্রিজের সারি সারি বোতলই বৃদ্ধার বেঁচে থাকার রসদ।