দিল্লিগামী বিমান ছাড়ার কথা আর কিছুক্ষণের মধ্যেই। কিন্তু বোর্ডিং গেটের কাছে হঠাৎই চোখ আটকে গিয়েছিল তাঁর। দেখেছিলেন, একদল যাত্রী আকুল হয়ে কাঁদছেন। তাঁদের সঙ্গে একটি বছর দুয়েকের শিশু। নড়াচড়া করছে না, শ্বাস পড়ছে না তার। আর দেরি করেননি তিনি। ডাক্তারকে খবর দিয়েই এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সিপিআর দিতে শুরু করেন শিশুটিকে। তাঁর চেষ্টাতেই সে যাত্রা প্রাণে রক্ষা পায় একরত্তি।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৮ সেপ্টেম্বর মুম্বই এয়ারপোর্টে। সেদিন দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল ভিস্তারার ইউকে ৯৮৬ বিমানের। কিন্তু বোর্ডিং গেটের কাছে হঠাৎই এক বিমানসেবিকার চোখে পড়ে, একদল যাত্রী হাপুস নয়নে কাঁদছেন, বিলাপ করছেন। কী হয়েছে দেখার জন্য সেখানে ছুটে যান ওই তরুণী।
তখনই জানতে পারেন, কোনও কারণ বশত ওই যাত্রীদের সঙ্গে থাকা একটি দু বছরের শিশু হঠাৎ করেই নড়াচড়া বন্ধ করে দিয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাসও বন্ধ। কোলের ছেলে আর নেই ভেবেই আকুল হয়ে কাঁদতে শুরু করেছিলেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু শেষ চেষ্টা করতে ছাড়েননি ওই বিমানসেবিকা।