Home পরিবেশ কেন বারবার ‘মৃত্যু উপত্যকা’ হয়ে উঠছে মিয়ানমার অঞ্চল?

কেন বারবার ‘মৃত্যু উপত্যকা’ হয়ে উঠছে মিয়ানমার অঞ্চল?

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: শুক্রবারে কম্পনের কেন্দ্রস্থল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলকে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবেই পরিচিত। অদূর ভবিষ্যতে এখানে আরও বড় ভূমিকম্প হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

ভূ-বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী, ভারতীয় প্লেট ও বার্মা মাইক্রোপ্লেটের মধ্যবর্তী অঞ্চলের মধ্যে পড়ে এই সাগাইং ফল্ট। এই দুই প্লেটের মধ্যবর্তী ফাটল ভূপৃষ্টে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার বিস্তৃত। যার জেরেই বারবার কেঁপে ওঠে এখানকার মাটি। ভূতাত্ত্বিক জটিলতায় টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের জেরে সৃষ্ট হয় ভূমিকম্প।

শুক্রবারের এই ভূমিকম্প প্রসঙ্গে ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) এর পরিচালক ডঃ ওপি মিশ্র বলেন, সাগাইং ফল্ট মায়ানমারের দীর্ঘতম ফল্ট। অতীতেও একইমাত্রার ভূমিকম্প বহুবার হয়েছে এই অঞ্চলে।

ডঃ মিশ্র আরও বলেন, শুক্রবার প্রথম ভূমিকম্পটির পর একাধিক আফটারশক হয়েছে। ঠিক কতমাত্রার কতগুলি আফটারশক হয়েছে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জানতে পারব আমরা।

মিয়ানমারের ভূমিকম্পের জেরে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে মিশ্র বলেন, “দুই প্লেটের মধ্যবর্তী সাগাইং ফল্টের ফাটল অগ্রসর হয়েছে মায়ানমার থেকে ব্যাংককের দিকে। ব্যাংককে রয়েছে পলি বেল্ট। তুলনামূলক এখানকার মাটি দুর্বল হওয়ার কারণে বড় মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারেনি এখানকার ভবনগুলি। সাগাইং ফল্টের কারণে এখানে এর আগেই যে বড়মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে সেকথা স্মরণ করিয়ে ডঃ মিশ্র বলেন, ১৯৪৬ সালে এই অঞ্চলে ৭.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। ২০১২ সালেও ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে এই অঞ্চল যে অত্যন্ত স্পর্শকাতর তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী, প্রতি বছর ১১ মিলিমিটার থেকে ১৮ মিলিমিটার পর্যন্ত স্থানান্তরিত হয় এই প্লেট দুটি। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাটির গভীরে প্রবল চাপ তৈরি হয়। যার প্রভাবে কেঁপে ওঠে সাগাইং ফল্টের অঞ্চল। অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে আরও বড় ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনাও এড়িয়ে যাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।