বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুমিছিল। সোমবার রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এ পর্যন্ত অন্তত ১৬০ জন মারা গেছেন বিপর্যয়ে। আহতের সংখ্যা প্রায় হাজার। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। মনে করা হচ্ছে, এখনও বহু মানুষ মৃত ও জীবিত অবস্থায় চাপা পড়ে আছেন ধ্বংসস্তূপের তলায়। আর তার মধ্যেই পরপর চলছে আফটারশক।
এদিন সকালে আচমকা কেঁপে ওঠে পশ্চিম জাভা এলাকার সিয়ানজুর শহর। ওই এলাকায় প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষের বাস। কয়েক মুহূর্ত মাত্র স্থায়ী হয় কম্পন, তাতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে অসংখ্য ঘরবাড়ি। ফেটে যায় রাস্তা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় আড়াই হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। বহু মানুষ খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন। গোটা শহরে বিদ্যুৎ নেই, জল নেই, নেই টেলিফোন সংযোগ। হাসপাতালগুলিতে হাহাকার শোনা যাচ্ছে কেবল। একের পর এক অ্যাম্বুল্যান্সে করে আসছেন জখমরা।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘কিছু বোঝার আগেই ঘরের আলমারি পড়ে গেল, দেওয়ালটা ভেঙে পড়ল। সব দুলছিল। আমি ভাবছিলাম আমার মা, বাবা কোথায় গেল! তার পরে কিছু মনে নেই আমার।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারও জোরদার ভূকম্পন হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ায়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৬.৯। কিন্তু সেদিন কোনও ক্ষয়ক্ষতি সেভাবে হয়নি। আজ কম্পনের মাত্রা কম হওয়া সত্ত্বেও বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ল ইন্দোনেশিয়া।
২০০৪ সালে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ। এর পরেই হয়েছিল ভয়াবহ সেই সুনামি। ভারতীয় মহাসাগরের উপকূল বরাবর ২ লক্ষ ২৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এবারের ভূমিকম্পে যেন আবারও ফিরে আসছে সেই স্মৃতি।