Home পণ্যবাজার বিভ্রান্তিকর তথ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ভোজ্যতেলের: এস এম নাজের

বিভ্রান্তিকর তথ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ভোজ্যতেলের: এস এম নাজের

চট্টগ্রাম: বেশ কয়েক মাস ধরেই আর্ন্তজাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল ও নিম্নমূখী। তা সত্ত্বেও সরকারকে ম্যানুফেকচারার্স এসোসিয়েশন বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে দাম বাড়িয়েছে। এই অভিযোগ করে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন অবিলম্বে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমদানি কর হ্রাস ও ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মাসে ৫৫০ কোটি টাকা করে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার  রাজস্ব হারিয়েছিলো। কিন্তু ভোক্তারা তার এক টাকার সুফলও পাই নাই। পুরো টাকাটাই মিলাররা নিজেরা পকেটস্থ করে অধিক দামে সয়াবিন তেল কিনতে বাধ্য করেছেন। আর এজন্য সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থার গ্রহন বা তিরস্কার পর্যন্ত করে নাই, যা খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। আর এর

ক্যাব সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন

কারণে ব্যবসায়ীরা একবার সয়াবিন, একবারে পেঁয়াজ, একবার চিনি, এভাবে পুরো বছর জুড়েই কোন না কোন পণ্যের কৃতিম সংকট রেখে মানুষের পকেট কাটছে আর সরকার নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

বিবৃতিতে ক্যাব সহ-সভাপতি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর জন্য বারবারই অনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেন। দাম বাড়ানোর চক্রান্ত হলেই তারা সরবরাহ বন্ধ করে দেন। আর বেশি দাম দিলে সয়াবিন পাওয়া যায়। সরকারের সাথে আলোচনার আগেই ব্যবসায়ীরাই সিদ্ধান্ত ঘোষনা করেন, সরকারকে চাপে ফেলে সেই দাবি তারা পুরণ করে সরকার শুধু বৈধতা দেয় মাত্র।

বিবৃতিতে আরও বলেন, সয়াবিনের দাম বাড়লেও তার প্রভাব পরিবারে খুব বেশি পড়বে না বলে বাণিজ্য উপদেষ্টা যে মন্তব্য করেছেন সে বিষয়ে তিনি বলেন, সয়াবিন তেলে ৭০ টাকা বেশি লাগলেও একইভাবে চাল, পেঁয়াজ, ডিম ও সবজির দরও সবজি ও অন্যান্য পণ্যে যদি এভাবে বাড়তি টাকা লাগে তাহলে, পরিবারের খরচের লাগাম টানবে কিভাবে? আর বাড়তি টাকা যোগাতে অক্ষম হলে পরিনতি অবশ্যই খারাপ যা খাদ্য মূল্যস্ফীতিকে আরেক দফা উসকে দিবে।

ট্যারিফ কমিশনে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণের পর্যালোচনাটি একপক্ষীয় মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, জনগনকে জিম্মি করে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ ব্যবসায়ীরাই করেছেন। সরকার ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য হচ্ছেন। “দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে মিলমালিক, আমদানিকারক, ভোক্তা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধি যদি উপস্থিত থেকে সিদ্ধান্ত গৃহিত হতো তাহলে সকলেই বুঝতে পারতাম কোন প্যারামিটার ধরে দাম বাড়ানোর প্রস্তাবটি গ্রহন করা হচ্ছে।” কিন্তু বিগত সরকারের মতো এ সরকারও ব্যবসায়ী বান্ধব বলে প্রচার করে ভোক্তা/সাধারণ জনগনের মতামতকে উপেক্ষা করছে। আর সব বিষয়ে সংস্কার করা হলেও বাজার ব্যবস্থা সংস্কারে কোনো উদ্যোগ না দেবার অর্থ হলো সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে সরকারের আগ্রহ নেই।