চতুর্থ দিনে লকডাউনের ঢিলেঢালা ভাব!!
ভোলা থেকে মহিউদ্দিন ভোলা: ভোলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলছে করোনা সংক্রমণ । গত ২৪ ঘন্টায় ২২০ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৬২ শতাংশ।
এদিকে কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থদিনে সোমবার ভোলা শহরে ছিলো ঢিলেঢালা ভাব, যানবাহন আর মানুষের সমাগম ছিলো চোখে পড়ার মতো।
সকাল থেকে শহরে মানুষের উপচ্ছে পড়া ভীর লক্ষ করা গেছে । শহরে চকের মধ্যে এম হক মার্কেটে, ওয়েস্টান পাড়াসহ সড়কে বিভিন্ন জায়গায় অর্ধেক শাটারে দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা গেছে। যা প্রশাসনের মানুষ দেখলেই বন্ধ হয়। বিপুল জনসমাগম থাকায় স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই ছিল না এদের মধ্যে । শহরের প্রায় ওষুধের দোকানে মানা হচ্ছিলোনা কোন স্বাস্থ্যবিধি। ব্যাংকগুলোতে একই চিত্র। তবে জনসমাগম ঠেকাতে শক্ত অবস্থানে ছিলো প্রশাসন। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের টহল দেখা গেছে।
এদিকে করোনার ঊর্ধ্বগতিতে ভোলার সচেতন মহলের উদ্বেগ বেড়ে গেছে। তাদের দাবি প্রশাসনের লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের পদক্ষেপ গা ছাড়া। চেকপোস্টের দুই পাশেই দাড়িয়ে থাকে অনেক যানবাহন। প্রশাসন একপাশ থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিলে ১মিনিট পায়ে হেটেই আবার রিকশায় উঠছে তারা। এটা যুগীলঘোল এলাকায় বেশী। ভোলা ইলিশা ফেরীঘাটে আজো ঢাকা ও চট্টগ্রাম গামী মানুষের ভিড় ছিলো।
স্বাস্থ্যবিধি লঙ্খন এবং বিনা কারণে ঘোরাফেরার কারনে ৮ জনের কারাদন্ড এবং ১৭ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অবৈধভাবে যাত্রী পারাপারের দায়ে দুই ট্রলার মাঝি আটক।
ইলিশা ফেরিঘাট দিয়ে লকডাউন অমান্য করে উত্তাল মেঘনায় মোটা অংকের টাকায় বিনিময়ে যাত্রী পারাপার এর দায়ে মানিক ও খোকন নামের দুই ট্রলার মাঝিকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ২৬ জুলাই ভোর রাতে ইলিশাঘাট থেকে পুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমান এর নেতৃত্ব এস আই ফরিদ ও এ এস আই মাইনুলসহ পুলিশের একটি টিম দুই মাঝি কে আটক করেন।
ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আটকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।