বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, বর্তমানে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এতে করে সিস্টেমে চাপ পড়বে। প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। তাই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে শঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই
বুধবার (১৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে জাতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। কিন্তু দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে অনেকেই ঢাকায় এসে বা ঢাকা থেকে বাইরে গিয়ে আটকা পড়েছেন। তারা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কেন্দ্র পরিবর্তন করতে পারবে কিনা ও দেরিতে গেলে আগের কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবে কি না তা নিয়ে জনগণের মাঝে আছে নানা রকমের প্রশ্ন। সেটির দিকে আলোকপাত করেই মূলত সেব্রিনা ফ্লোরা এ কথা বলেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেনেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, যার কাছে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার এসএমএস যাবে, তারা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে কার্ড দেখিয়ে ভ্যাকসিন নেবেন। কিন্তু অনেকেই চলে আসছেন এসএমএস ছাড়া, এতে করে একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই কেন্দ্র থেকে এসএমএস পাওয়ার পরে ভ্যাকসিন নিতে আসার অনুরোধ করছি।’
দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কেন্দ্র পরিবর্তন করার বিষয়টি সিস্টেমে কোনোভাবেই আপডেট হবে না জানিয়ে অধ্যাপক ডা. মিজান বলেন, প্রথম ডোজ যেখান থেকে নেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ সেখান থেকেই নিতে হবে। ৫৬ দিন পরেও ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। তাই অপেক্ষা করতে হবে। যারা চাকরির সুবাদে বদলি হয়েছেন তাদের নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। যেখানে তিনি বদলি হয়েছেন সেখানে কীভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া যায় সে নিয়ে কাজ হচ্ছে। তবে এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার এসএমএস ছাড়াই চলে আসছেন। এতে কিছু সমস্যা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন এবং এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।