Home Second Lead ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ না করার দাবি কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের

ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ না করার দাবি কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: করোনাকালীন সময়ে যে পণ্যগুলো যোগাযোগ থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে সে পণ্যগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি পণ্য অন্যতম। দাপ্তরিক কাজ বা পড়াশোনার কাজে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ওয়েব ক্যাম থেকে শুরু করে স্মার্টফোন পর্যন্ত ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। এসময় কম্পিউটার আমদানির ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্তরায় বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর।

শনিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসবকথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি সাধারণ মানুষের হাতে কম্পিউটার এবং প্রযুক্তি পণ্য পৌঁছে দিতে এবং প্রযুক্তিবান্ধব দেশ গঠনে প্রথম থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তি পণ্যে আমদানিকারক দেশ থেকে উৎপাদনশীল দেশ হতেও নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি। মেড ইন বাংলাদেশ স্লোগানে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্ত বিভাগের সঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯ এবং ২০২১ এর সফল আয়োজক বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি।

তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি পণ্য অন্য আরো দশটি পণ্যের মতো সাধারণ প্রোডাক্ট নয়। এর সঙ্গে গবেষণা, পরিকল্পনা, কাঁচামালের সহজলভ্যতা এবং সমন্বয়ের ব্যাপার রয়েছে। আমরা এই খাতে কীভাবে আমদানি নির্ভরতা কমানো যায় তা নিয়ে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে ব্যাপারটি হুট করে হয়ে যাওয়ার মতো নয়। তাই নিজেদের পরিপূর্ণ সক্ষমতা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত কম্পিউটার আমদানির উপর নতুন করে ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করা একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে এখনই কম্পিউটারের উপর ভ্যাট ট্যাক্স আরোপ না করারা দাবি জানিয়ে বিসিএস সভাপতি বলেন, মহামারি করোনার গ্রাসে প্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা এমনিতেই কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন। জীবন বাজি রেখেও তারা গ্রাহকের সেবা প্রদানে পিছপা হননি। ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হলে কম্পিউটার মার্কেটে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এরফলে গ্রাহক হারানোর পাশাপাশি তরুণ ব্যবসায়ীদের অবস্থাও করুণ হবে।

এজন্য পর্যায়ক্রমে এবং কিছুটা সময় দিয়ে কম্পিউটারের উপর আরোপিত শুল্ককর প্রত্যাহারের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান তিনি।