- বাইরের ক্রেতারা অনুপস্থিত
- ২৫ ভাগ চা অবিক্রীত
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম চা নিলামেও। সোমবার অনুষ্ঠিত মওসুমের প্রথম নিলামে বায়ারদের উপস্থিতি এবং তৎপরতা ছিল কম। সাধারণ চা প্রতিকেজি ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা এবং ভাল মানের চা প্রতিকেজি ২৪০ টাকা থেকে ২৪৫ টাকা পর্যন্ত দর ওঠে।
বাংলাদেশ চা বোর্ড নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। গত মওসুমে প্রথম নিলামে বিক্রির জন্য ৩৯,১২৭ ব্যাগ চা ক্যাটালগভুক্ত হয়েছিল। আর এবারে হয়েছে ২০,০৭৯ ব্যাগ। অর্থাৎ প্রায় ৫০ ভাগ কম গতবারের তুলনায়। তারপরও ২৫ ভাগ অবিক্রিত ছিল। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, প্রায় দু’মাস আগে বিগত মওসুমের শেষ নিলামে বিক্রি হওয়া চা এখনও চট্টগ্রামে ক্রেতাদের গুদামে পড়ে আছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্রেতারা ডেলিভারি নিতে পারেননি। লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে দোকানসমূহ।
পরিবহন সংকট এবং শেষ নিলামের চা অবিক্রীত থাকার কারণে বাইরের ক্রেতারা আসেননি। তবে, প্যাকেটিয়াররা কিনেছেন প্রচুর। নতুবা বিক্রি আরও কমে যেতো বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
শুরুতে বাজার ছিল কিছুটা ভাল। তবে, তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ভ্যালুয়েশন বেশি হওয়ার কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। ২৩৫ টাকা থেকে ২৪৫/২৫০ টাকা পর্যন্ত দর ওঠে শুরুতে। সেই চা পরে ২০০ টাকা থেকে ২১৫/২২০ টাকায় নেমে যায়। ভাল মানর চা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২০০ টাকা থেকে ২৪০/২৪৫ টাকা পর্যন্ত।
দেশের উত্তর সীমানার পঞ্চগড় থেকে আসা প্লেইন চা শুরুতে কয়েক লট ১৬০ টাকা থেকে ১৬৫ টাকা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি। অল্প সময়ের মধ্যে সেই দর নেমে যায় ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানালেন, প্রথম নিলামের পরিস্থিতি থেকে ধারণা করা যায় যে পরবর্তী নিলামও কমবেশি এরকমই থাকবে।