Home আন্তর্জাতিক ভারতের মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি

ভারতের মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: ভারতের অশান্ত মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন বিজেপির বীরেন সিং । দিল্লিতে অমিত শায়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন তিনি।

তখন থেকেই জল্পনা চলছিল মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে  এক বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রপতির নাম উল্লেখ করে জানানো হয় যে ‘রাজ্যপালের তরফে পাঠানো রিপোর্ট ও অন্যান্য সূত্রে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যাতে রাজ্যে সংবিধান মোতাবেক সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ’

রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হলেও বিধানসভা ভঙ্গ করা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে বিধানসভা ডেকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী বাছার পথ খোলা থাকছে।

সম্প্রতি কংগ্রেসের তরফে বিধানসভায় অনাস্থা আনার হুমকি দেওয়া হয়। তারপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। কংগ্রেস অনাস্থা আনলে প্রস্তাবের পক্ষে বেশ কয়েকজন শাসক জোটের বিধায়ক ভোট দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়ায়। এরপরই দিল্লিতে অমিত শায়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে রবিবার ইম্ফলে ফিরে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন বীরেন সিং।

২০২৩ সালের মে মাস থেকে মণিপুরে ভয়ংকর জাতি হিংসা  শুরু হয়। সেই আগুন এখনও নেভেনি।  অন্তত ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সব কিছুর জন্যই বিরোধীদের সমালোচনার নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। বিভিন্ন সময় বিরোধীদের দাবি সত্ত্বেও হিংসা শুরুর প্রায় ২ বছর পর পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং।

পদত্যাগের পর ৪ দিন কেটে গেলেও নতুন করে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরেনি বিজেপি। তাতেই রাষ্ট্রপতি শাসনের সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়। দলের অন্দরে শঙ্কা ছিল, নতুন করে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী বাছা হলে শাসকজোটের সব বিধায়ক সঙ্গে থাকবে কিনা। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, তাই ঝুঁকি না নিয়ে বিজেপি রাষ্ট্রপতি শাসনের পথেই হাঁটতে চেয়েছে। একবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা পুরোপুরি কেন্দ্রের উপর ন্যাস্ত হবে। সেক্ষেত্রে হিংসাজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলাও কেন্দ্রের পক্ষে সহজ হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

বীরেনের ইস্তফার পর মণিপুরে নতুন মুখ্যমন্ত্রী বাছার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি। উত্তরপূর্বে বিজেপির দায়িত্বে থাকা সম্বিত পাত্র বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছেন সে রাজ্যের বিধায়কদের সঙ্গে। গত দুই দিনে রাজ্যপাল ভল্লার সঙ্গে দুই দফায় বৈঠকও সেরেছেন সম্বিত। গত মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ সারদা দেবীকে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন সম্বিত। বুধবার আবার দেখা করতে যান রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে পারেননি বিজেপি নেতৃত্ব।