ক্ষেতে মরিচ তুলতে প্রতি কেজিতে শ্রম মূল্য যাচ্ছে ১০ টাকা। বাজারে এখন ৪০-৫০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করতে পারছি। পাইকার ক্ষেতে এসে ৪০ টাকা দরে মণে এক হাজার দুইশ টাকা দর দিচ্ছে।
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) থেকে সংবাদদাতা: এবারে তেঁতুলিয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে মরিচের। দামও পাওয়া যাচ্ছে ভাল। মণ বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ টাকা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার সাতশ হেক্টর জমি। তবে লক্ষ্যমাত্রার বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। কৃষকরা জানান, এবার আবহাওয়া চাষের অনুকূলে। তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় মরিচ গাছ মরেনি। মরিচের ফলন অনেক ভালো। এছাড়া, এবার রোগবালাই, পোকামাকড়ও আক্রমণ করেনি। কৃষি অফিসের পরামর্শে রোগবালাই দমনের জন্য সব ধরনের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।
তিরনই হাট ইউনিয়নের আলেরবাড়ী গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। আমি ৬০ শতক জমিতে মরিচ আবাদ করেছি। প্রতি মণে ১২শ টাকা পাচ্ছি। ক’দিন আগে ১৬শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি।
চান্দামারী এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, ফলন ভালো হয়েছে। সে তুলনায় প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছি না। ক্ষেতে মরিচ তুলতে প্রতি কেজিতে শ্রম মূল্য যাচ্ছে ১০ টাকা। বাজারে এখন ৪০-৫০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করতে পারছি। পাইকার ক্ষেতে এসে ৪০ টাকা দরে মণে এক হাজার দুইশ টাকা দর দিচ্ছে।
এদিকে, ক্ষেত থেকে মরিচ তোলা নিয়ে দু’পয়সা আসছে নারীদের। গ্রামের খেটে খাওয়া নারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষেতে মরিচ তুলতে।
কথা হয় আয়মনা, জরিনা ও শেফালির সঙ্গে। তারা বলেন, প্রতি কেজি মরিচ তুললে ১০ টাকা পাই। সে হিসেবে সারা দিন চারশ থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত পাচ্ছি। পরিবারে উপকারে আসছে। সামনে ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে গ্রামের অনেক শিক্ষার্থীরা মরিচ তুলতে সময় পার করছে।
শালবাহান হাটের মরিচ ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম বলেন, এবার এই উপজেলায় মরিচ চাষিদের মাথায় হাত। তারা মরিচ চাষ করে হতাশা ছাড়া কোন কিছু পাচ্ছে না। হঠাৎ করে বাজারে মরিচের আমদানি বেড়ে গেছে। এতে করে দাম কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বছর তেঁতুলিয়া উপজেলায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে এখন মরিচের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। মরিচ আবাদকে কেন্দ্র করে মরিচ তুলেও অনেক নারীর আয় হচ্ছে।