Home চট্টগ্রাম মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু

মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু

মশক নিধনে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: ডেঙ্গু মোকাবেলায় আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামছে সিটি কর্পোরেশন। আজ বুধবার (৪ আগস্ট) থেকে শুরু হয়ে ত্রিশ দিন নগরজুড়ে এ বিশেষ ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ চলমান থাকবে।
বুধবার (৪ আগস্ট) নগরীর বিপ্লব উদ্যান এলাকায় মিশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
মোট তিন ধাপে চালানো হবে এ কার্যক্রম। প্রতিদিন ৪টি করে মোট ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ দিন মশার ওষুধ ছিটানোর পর পুনরায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে একমাসে তিনবার ওষুধ ছিটানো হবে। এর বাইরে চলবে নিয়মিত কার্যক্রমও।
সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী  বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ২৫ জন স্প্রে-ম্যান ওষুধ ছিটাবেন। আমারা ধাপে ধাপে এ ক্রাশ প্রোগ্রামকে ভাগ করেছি। একটি ওয়ার্ডে আমরা তিনবার করে ওষুধ ছিটাবো যেন কোন লার্ভা জন্মাতে না পারে। ৩০ দিনকে তিন ভাগ করে ১০ দিনে একবার করে প্রতি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম চলবে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ১ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে নিয়মিতভাবে।
মেয়র রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, মশক নিধনে কোন ওষুধ কার্যকরী, কোন ওষুধ কার্যকরী নয় তার গবেষণা করে দেখিয়েছেন। লার্বিসাইড ও অ্যাডাল্টিসাইড কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তা বলেছেন।

এতদিন মশা মারার ঔষধ ছিল অকার্যকর: মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীতে মশক নিধন একটি প্রধান সেবা মূলক কার্যক্রম। এতদিন যে-পদ্ধতিতে ও ওষুধ ছিটিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিলো। তাতে নানা ধরণের ক্রটি ও অসঙ্গতি ছিলো। ব্যবহৃত ওষুধও অকার্যকর ছিলো। এই প্রেক্ষিতে চবি কীটতত্ত্ব বিভাগের গবেষণালব্ধ প্রতিবেদনের সুপারিশ ও পরামর্শ অনুযায়ী বুধবার থেকে নগরীতে মশক নিধনে মাসব্যাপী বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হলো।
চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভপতি মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, শৈবাল দাশ সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. এসরারুল হক, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুম, কাজী নুরুল আমিন, সংক্ষিত কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী প্রমুখ।
মেয়র বলেন, মাশা প্রজননের উৎস হলো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। এসব বারবার পরিষ্কার করার পরও আবার আবর্জনার ভাগাড় তৈরী হয়। নালা-নদর্মায় আবর্জনা ফেলা হয়। এসবের জন্য দায়ী অসচেতন নগরবাসী। তাদের এই দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য। তিনি ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরবাসীকে আরো বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জমাট পরিষ্কার পানিতে ডেঙ্গুর লার্ভা ছড়ায়। তাই নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় যেখানে জমাট পানি আছে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রয়াই দেখা যায় নির্মাণাধীন ভবনে জমাট পানি যত্রতত্র পড়ে থাকে এবং এখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তাই নির্মানাধীন ভবনের মালিকরা জমাট পানি না সরালে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

৭ আগস্ট মর্ডানার ভ্যক্সিন
কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

আগামী ৭ আগস্ট শনিবার সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ৬ দিন ব্যাপী মর্ডানা (কোভিড-১৯) টিকাদান কার্যক্রম রাহাত্তারপুলস্থ মজিদিয়া আলিম মাদ্রাসা কবরস্থান সংলগ্ন চত্বরে স্থাপিত বুথ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বুধবার পাহাড়তলী ওয়ার্ড কার্যালয়ে টিকা গ্রহণকারীদের নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আঠার বছরোর্ধ্ব প্রত্যেকেই টিকা গ্রহণে নিবন্ধকৃত হওয়ার সুযোগ পাবেন। নিবন্ধনকৃতরা যে কেন্দ্র বা বুথে টিকার প্রথম ডোজ নেবেন দ্বিতীয় ডোজও সেখান থেকে নেয়া বাধ্যতামূলক।