বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে মসলার দাম হু হু করে বেড়েই চলছে। মসলা ভেদে ২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে ।
শুক্রবার (২৫ জুন) নগরীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বলছে, এক মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। মাসের ব্যবধানে কেজিতে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, শুকনা মরিচ ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, হলুদ ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ, দারুচিনি ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ধনেগুঁড়া ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ দাম বেড়েছে।
জানা গেছে, মাসের ব্যবধানে দেশি আদা কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা বেড়েছে। লবঙ্গ কেজিতে ২৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি এলাচে দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা। প্রতি কেজি তেজপাতা বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকায়, যা এক মাস আগে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায়, যা এক মাস আগে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ৮৫-৯০ টাকা, যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা। মাসের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা। দেশি শুকনা মরিচ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে আমদানি করা হলুদ ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি আদা ১৫ টাকা বেড়ে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা। মাসের ব্যবধানে কেজিতে ১৫০ টাকা বেড়ে এলাচ ২১৫০ ও লবঙ্গ কেজিতে ২৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। প্রতি কেজি তেজপাতা মাসের ব্যবধানে ৩ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকা ও ধনেগুঁড়া কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মুদি বিক্রেতা মো. সোলেমান বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, পাইকারি বাজারে মাসের ব্যবধানে সব ধরনের মসলা পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে বাজারে পণ্যের কোনো রকম সংকট নেই। সরবরাহও স্বাভাবিক। তবে কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। এ কারেণে পাইকারি বাজার থেকে বেশি দরে এনে বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি জানান, সামনে কোরবানির ঈদ। ক্রেতারা এখন থেকে মসলা কিনতে শুরু করেছেন। এ সুযোগে পাইকাররা দাম বাড়িয়েছে।
পাইকারি বিক্রেতা মো.আরমান বলেন, বাজারে পণ্যের কোনো সংকট নেই, এটা সত্য। তবে আমদানি করতে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এ কারণে দাম বাড়াতে হয়েছে। তবে আমদানিতে দাম কমলে পাইকারি বাজারেও দাম কয়েকদিনের মধ্যে কমে আসবে।