দিল্লি: মহারাষ্ট্রে কৃষকদের দুর্দশা চরমে পৌঁছিয়েছে। সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের অগস্ট পর্যন্ত সে রাজ্যের ১৪,৫৯১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। রাজ্যের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের মন্ত্রী বিজয় ওয়াদেতিয়ার একথা জানিয়েছেন।
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের শুধুমাত্র নাগপুর এবং অমরাবতী রাজস্ব বিভাগের অন্তর্গত ১১টি জেলায় ২০১৯ সালে ১,২৮৬ জন কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এদিন বিধান পরিষদে কংগ্রেস সদস্য শরদ রণপিসের এক প্রশ্নের জবাবে বিজয় ওয়াদেতিয়ার এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের অগস্টের মধ্যে ১৪,৫৪১ জন কৃষক আত্মঘাতী হন। এর মধ্যে ৫,৪৩০টি ক্ষেত্রে সরকারের তরফে কোনও সহায়তা করা হয়নি। এ ছাড়া ২১৪টি মামলায় তদন্ত বাকি আছে।’ মহারাষ্ট্রের যে ছয় জেলায় সর্বাধিক কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে সেখানে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের মন্ত্রী জানিয়েছেন।
কৃষক আত্মহত্যার নিরিখে দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে মহারাষ্ট্রের নাম উপরের দিকে। ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রায় ১২ হাজার কৃষক আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে আগেই সরকার জানিয়েছিল। মূলত ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করতে না পারা ও শস্য উৎপাদন ব্যাহত হওয়া আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। সম্প্রতি রাজ্য সরকার কৃষি ঋণমকুবের কথা ঘোষণা করে। কিন্তু পরিস্থিতির গভীরতার নিরিখে কৃষকদের অবস্থার উন্নয়নে শুধু ঋণ মকুব যথেষ্ট নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক