বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্ট্যাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন হাওলাদার রনি আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টানা ৪ ঘণ্টা বৈঠকের পর রেলওয়েতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে টানা কয়েকসপ্তাহ আন্দোলন চালিয়ে আসা রনি অবশেষে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিলেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ভবনের পদ্মা হলে আজ সোমবার (২৫ জুলাই) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রনি।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের রনি বলেন, রেলওয়ের সচিব ও মহাপরিচালক মহোদয়ের সম্মতিক্রমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অংশীজন সভায় আমাকে একজন প্রতিনিধিসহ উপস্থিত হয়ে যাবতীয় অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা উত্থাপন এবং আমার ৬ দফার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ফলোআপে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। আমার ৬ দফা দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রেখে এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ডিজির প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং আমার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আপাতত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।
রনি আরও বলেন, তবে যদি দেখি আমার দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না অথবা সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে আমি পুনরায় আন্দোলনে ফিরে যাব। আশা করি আমার এ আন্দোলনে দুর্নীতিবিরোধী দেশপ্রেমিক সব সৎ নাগরিককে পাশে পাব।
এর আগে বিকেল চারটার দিকে রনি তার সহযোগীদের নিয়ে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। রনির কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। এরপরই রেল সচিবের ডাক আসে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়ের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা রোধে এবং সহজ ডট কমে যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে গত ৭ জুলাই থেকে আন্দোলনে নামেন মহিউদ্দিন রনি।
রনির দাবিগুলো হলো-
১. টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহজ ডট কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে।
৩. অনলাইন-অফলাইনে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
৫. ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেল সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
৬. ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।