মহেশখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হচ্ছে। এরমধ্যে মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ নামের অথনৈতিক অঞ্চলটিতেই মোট জমির পরিমাণ ১ হাজার ২৪০ একর। ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৭০ একর জমি। কাজও চলছে পুরোদমে।
২০১৪ সালে জাপান সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিআইজিবি) নামে একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এ উন্নয়ন পরিকল্পনায় মহেশখালী এলাকায় গভীর সমুদ্র বন্দরসহ সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ হাব এবং ভারি শিল্প স্থাপনার একটি রূপরেখা ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর বেজা’র গভর্নিং বোর্ড সভায় মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা মৌজায় ১ হাজার ২৪০ একর জমিতে মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন।
যেকোনো শিল্প স্থাপনার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইতোমধ্যে ৫৭০ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এ জমি বরাদ্দপ্রাপ্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের লক্ষ্যে যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপনাসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেজা।