Home Second Lead বৃষ্টিতে জয়পুরহাটে আলু সরিষা চাষিদের স্বপ্নভঙ্গ

বৃষ্টিতে জয়পুরহাটে আলু সরিষা চাষিদের স্বপ্নভঙ্গ

পানির নিচে আলুক্ষেত

মোঃ খোকন হোসেন জাকির, জয়পুরহাট থেকে:  মাঘের বৃষ্টিতে জয়পুরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলার আলু ও সরিষা চাষীরা বিপাকে পড়েছেন।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত তিনটা থেকে থেমে আজ শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ায় জেলার আলু ও সরিষার ক্ষেতে পানি জমেছে। কৃষকরা কিছু কিছু আগাম জাতের আলু তুললেও বেশির ভাগ এখনও ক্ষেতে। পানি জমে থাকায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় । সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে কালাই উপজেলায়।

কালাই উপজেলা আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের একডালা গ্রামের আলু-সরিষা চাষী মুনসুর আলী মন্ডল বলেন, আলু-সরিষার জমিতে পানি জমেছে। আলুর জমিতে পানি জমে থাকলে পচন ধরবে। এতে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হবে। আলুর দাম আরও কমতে পারে।

সুড়াইল গ্রামের আলু চাষী কামরুল ইসলাম বলেন, আমি ৫ বিঘা আলু চাষ করেছি সবই পানিতে তলিয়ে গেছে। আলুতে যা খরচ করেছি তার অর্ধেক টাকার আলু বিক্রি করতে পারবো না।

বৃষ্টি ও ঝড়োহাওয়ায় এভাবে দুমড়ে মুচড়ে আছে মাঠের পর মাঠের সরিষাক্ষেত

সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের আলু চাষী আবদুল খালেক জানান, নেই বাজারে আলুর দাম। ইতোমধ্যে ১ বিঘা জমির আলু বিক্রি করে প্রায় ৩ হাজার টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে। এখন বৃষ্টির কারণে আলুতে পচন ধরলে তাঁকে পথে বসতে হবে।

সরিষা চাষীরা জানান, হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে মাঠের সরিষা ক্ষেত হেলে পড়েছে। অনেক জমিতে পানি জমে হেলে পড়া সরিষা ক্ষেত ডুবে গেছে। এতে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা চাষীদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার পাঁচ উপজেলায় ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর জেলার পাঁচ উপজেলায় ১১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে বৃষ্টিতে আলুর ফসলের জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। আর বৃষ্টি না হলে তেমন ফসলের ক্ষতি হবে না। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখন নির্ধারণ করা হয়নি। তা আগামীকাল জানা যাবে।