বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
লাগামছাড়া যৌনতা মাঙ্কিপক্সের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এমনই সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। একাধিক যৌনসঙ্গী, অনিয়ন্ত্রিত যৌন জীবন সংক্রমম ছড়ানোর বড় মাধ্যম। বিশেষ করে সমকামীদের সতর্ক করছে হু। সমীক্ষায় দেখা গেছে, সমকামী ও উভকামী পুরুষদের মধ্যেই সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে। একাধিক পার্টনার, ঘনিষ্ঠ মেলামেশা, সঙ্গম থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
হু-প্রধান বলছেন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতে সংক্রমণ ছড়ানোর বড় কারণই হল অবাধ যৌনতা । লাগামছাড়া যৌনজীবনই বিপদ ডেকে এনেছে। সেই কারণে একাধিক যৌনসঙ্গী রাখতেও নিষেধ করছে হু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মতে, ফুসকুড়ি, শরীর থেকে নির্গত তরল (যেমন পুঁজ বা ক্ষত থেকে নির্গত রক্ত) এবং স্ক্যাবগুলি এক্ষেত্রে খুবই সংক্রামক ৷ এমনকী রোগীর বিছানাপত্র, পোশাকআসাক, খাওয়ার থালা থেকেও রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষত রোগের পর দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত ভাইরাস সবচেয়ে বেশি সংক্রামক থাকে ৷ কিন্তু উপসর্গহীন রোগীরা এই রোগ ছড়াতে পারে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷
সংক্রিত ব্যক্তির আলিঙ্গন, চুম্বন, স্পর্শ, গোপনাঙ্গে স্পর্শ, ওরাল সেক্স থেকে ভয়ঙ্করভাবে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। আক্রান্ত ব্যক্তির জামা কাপড় বা তোয়ালে, বিছানা, বালিশ ব্যবহার করলেও রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে ৷ বিশেষজ্ঞ বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত যৌনজীবন, একাধিক যৌনসঙ্গী থাকলে এবং অসুরক্ষিত যৌনজীবনে অভ্যস্ত হলে রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আমেরিকায় প্রথম যার শরীরে ভাইরাস চিহ্নিত করা গিয়েছিল, তিনি কানাডা সফর করে ফিরেছিলেন। ব্রিটেন, কানাডা, নাইজেরিয়া, পর্তুগালেই প্রথম সংক্রমণ ছড়িয়েছিল, এখন তা ঢুকে পড়েছে আমেরিকাতেও। সিডিসি জানাচ্ছে, আমেরিকায় সংক্রমিত ব্যক্তির সমকামী। মনে করা হচ্ছে তাঁর পার্টনারের থেকেই রোগ ছড়িয়েছে তাঁর শরীরেও। যৌনমিলন থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কিনা সে নিয়ে গবেষণা শুরু হয় এরপর। আর তাতেই গবেষকরা দেখেন, সঙ্গমের সময় বীর্যের মাধ্যমে বা ভ্যাজাইনাল ফ্লুইডের মাধ্যমে ভাইরাস ড্রপলেট দ্রুত ছড়াতে পারে। তাছাড়া একজন সংক্রমিত হলে তার চুম্বন, যে কোনও ধরনের স্পর্শ থেকে রোগ ছড়াতে পারে। আক্রান্তের সঙ্গে দিনের পর দিন সহবাস করলে রোগের বীজ এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ঢুকে যেতে পারে অনায়াসে। সেক্ষেত্রে কন্ডোমও কার্যকরী নাও হতে পারে।