সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী থেকে: মাধবদী থেকে গুলিভর্তি একটি বিদেশী পিস্তল ও বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে কোতোয়ালীর চরের বিলপাড় এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানান যে ঐ সময়ে ওরা ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ বিষয়ে গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে মাধবদী থানা পুলিশ দল সেখানে গিয়ে হানা দেয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামানের নেতৃত্বে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুলিশের অভিযান টের পেয়ে ১০/১২ জনের ডাকাত দলটি পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এছাড়া ডাকাত ইয়াকুব তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে পুলিশের ওপর গুলি করার চেষ্টা করে। কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৩০০ পিস ইয়াবা, বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম (গানপাউডার), তিনটি ককটেল, একটি হাতুড়ি, ৪টি দা উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৩০০ পিস ইয়াবা, বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম (গানপাউডার), তিনটি ককটেল, একটি হাতুড়ি, ৪টি দা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া ডাকাত দলটির ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার ছোট বালাপুর এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মো. ইয়াকুব আলী (৪০), ভলবদ্রদী এলাকার মনসুর আলীর ছেলে মো. মতিন মিয়া (৩২), শ্যামরাকান্দি এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে মো. হাসান আলী (২২), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার পরাবর্দী এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে আইনুল হক (২৪), বালিয়াপাড়া এলাকার জলিল মিয়ার ছেলে মো. ইয়াকুব (১৯), মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. আল আমিন (২৩), নয়নাবাদ এলাকার রশিদ ভূইয়ার ছেলে মো. রনি ভূঁইয়া (২৬) ও মৃত চেরাগ আলীর ছেলে মো. শরীফুল ইসলাম (২৬)।
ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৩টি ডাকাতির মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। এছাড়াও অন্য ডাকাতদের বিরদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।