Home নির্বাচন মাধবপুরে জামানত হারালেন ২৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

মাধবপুরে জামানত হারালেন ২৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

মাসুদ লস্কর, হবিগঞ্জ থেকে: পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাধবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ২৩ জন চেয়াম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে । ১১ ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন ৫৬ জন।
জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন:  ১নং ধর্মঘর ইউনিয়নে মো. সাইফুর রহমান চশমা প্রতীকে  ৯৫ ভোট পেয়েছেন।
২নং চৌমুহনী ইউনিয়নে শাহ  সৈয়দ আমানউল্লাহ আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৭টি ।
৩নং বহরা ইউনিয়নে শাহ  আল আমিন ভোট পেয়ছেন ৯০টি।
৪নং আদাঐর ইউনিয়নে মো. আশেক মিয়া ঘোড়া প্রতীকে  ৫৪৭ ভোট পেয়েছেন অপর প্রার্থী মো. আল আমিন মোটর সাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৬২টি ও  চকদার মামুন মাহমুদ টেবিল ফ্যান প্রতীকে মোট ভোট পেয়েছেন  ৪৮টি ।
৫নং আন্দিউড়া ইউনিয়নে মো. এখলাছুর রহমান সিরাজী আনারস প্রতীকে ৩২১ ভোট ও আলফাজ আলী চশমা প্রতীকে  ভোট পেয়েছেন ১৪২টি ।
৬নং শাহজাহাপুর ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৫৩৮ ।
৭নং জগদিশপুর ইউনিয়নে শেখ আব্দুল জলিল মনু চশমা প্রতীকে ৯৪০ ভোট পেয়েছেন  ও নাসির উদ্দিন খাঁন  আনারস প্রতীকে  ৩৯৯ ভোট পেয়েছেন ।
৮নং বুল্লা  ইউনিয়নে মো. সামীমুর রহমান  নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৫টি ভোট ।
৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়  শেখ মোজাহিদ বিন ইসলাম নৌকা প্রতীকে  ১ হাজার ২৫৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। সৈয়দ আদেল আহম্মদ প্রিন্স অটোরিক্সা প্রতীকে  ১২০ ভোট ও আজিজুর রহমান মোটর সাইকেল প্রতীকে  ৮৩ ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ।
১০নং ছাতিয়াইন ইউনিয়নে ৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মাঝে পাঁচ জন জামানত হারিয়েছেন । তারা হলেন একেএম বায়েজিদ বোস্তামী টেবিল ফ্যান প্রতীকে ১ হাজার ৫৪৯ ভোট , মো.  জিয়াউর রহমান অটোরিক্সা প্রতীকে ৭৬৮ ভোট, মো. সানিউর রহমান মানিক লাঙ্গল প্রতীকে  ৭৪ ভোট, মহিবুর রহমান মোটর সাইকেল প্রতীকে  ২০২ ভোট ও  রোকন মিয়া চশমা প্রতীকে  ৫২ ভোট । ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়নে মো. এখলাছ মিয়া নৌকা প্রতীকে  ১ হাজার ৮৬৯ ভোট ও মো. কামরুজ্জান লাঙ্গল প্রতীকে ১ হাজার ২৫ ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় প্রত্যেক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সরকারী কোষাগারে ব্যাংক চালানের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা করে জামানত জমা দিতে হয় । সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে  ওই ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলিতে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয় । সেই পরিমান ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।