বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
পাম অয়েল উৎপাদন ও রফতানিতে বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ মালয়েশিয়া। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে দেশটির পাম অয়েল উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ কমেছে।
মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের (এমপিওবি) গেল সপ্তাহে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়েছে।
কভিড-১৯-এর সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বছরের শুরুতেই শ্রমিক সংকটে পড়ে মালয়েশিয়া। এতে বিশ্বের শীর্ষ কোকিং অয়েলের ভোক্তা দেশটির উৎপাদন কমে যায়। কভিডের কারণে দেশটির চলমান লকডাউনের সময়সীমা ২৮ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে দেশটির অনেক শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখা এবং নতুন কোনো শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ থাকায় তা দেশটির সামগ্রিক উৎপাদনে প্রভাব ফেলেছে।
এদিকে উৎপাদন কমলেও চলতি বছরের জুলাইয়ে অপরিশোধিত পাম অয়েল রফতানিতে ৮ শতাংশ কর ধার্য করেছে মালয়েশিয়া। এর মধ্য দিয়ে টানা সপ্তমবারের মতো অপরিশোধিত ভোজ্যতেলটি রফতানিতে করারোপে একই হার বজায় রেখেছে দেশটি।
এমপিওবির ওয়েবসাইটে দেয়া এ-সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপরিশোধিত পাম অয়েলের টনপ্রতি মূল্য ৩ হাজার ৪৫০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ভোজ্যতেলটি রফতানিতে শুল্কহার ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশটিতে আগামী জুলাইয়ের জন্য অপরিশোধিত পাম অয়েলের প্রতিযোগিতামূলক বাজারদর (রেফারেন্স প্রাইস) টনপ্রতি ৪ হাজার ৬৬৮ দশমিক ১৫ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত নির্ধারণ করা হয়েছে।