এই দশকের জনপ্রিয়তম তরুণী হিসেবে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফাজির নাম ঘোষণা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, বিশ্বব্যাপী নারী শিক্ষার অধিকারের পক্ষে এই দশকে মালালা যে ভূমিকা নিয়েছেন, তাতে তাঁর ধারে কাছে আর কেউ নেই।
১৩ বছর বয়সে তালিবান জঙ্গিদের গুলি লেগেছিল মালালার শরীরে। অপরাধ ছিল, মেয়ে হয়ে স্কুলে যাওয়ার। তারপর টানা ৪৯ দিনের যুদ্ধ। মৃত্যুকে হারিয়ে জীবনের ছন্দে ফিরেছিল মালালা। সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিল এই পাক-ভূমিকন্যা। তালিবানি ফতোয়া উড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, পড়াশোনা চালিয়ে যাবে সে।
এখন মালালা ২২। রাষ্ট্রপুঞ্জ তাঁকে শান্তির দূত হিসেবে নিয়োগ করেছে। পৃথিবীর যে প্রান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, গর্জে ওঠেন মালালা। প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলের বোমাবর্ষণ থেকে আফগানিস্তানের কোনও গ্রামে নারী শিক্ষার উপর আক্রমণ- সরব হয়েছেন মালালা।
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তোলার পর সেখানকার পরিস্থিতি নিয়েও নিজের মত স্পষ্ট করেছিলেন নোবেলজয়ী তরুণী। স্পষ্ট বলেছিলেন, কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে সেখানে বন্দুকের ডগায় মানুষকে রাখা হয়েছে। ভূস্বর্গে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।