বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: মাসব্যাপী আয়কর তথ্য ও সেবা কার্যক্রম চলছে নগরীতে। আগ্রাবাদে কর অঞ্চলসমূহের স্ব স্ব কার্যালয়ে তা চলছে।
এই সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ১ নভেম্বর। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
প্রতিবছর চট্টগ্রামে জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বড় পরিসরে আয়কর মেলা হয়। এবারে করোনা পরিস্থিতিতে ছোট পরিসরে দেয়া হচ্ছে সেবা কার্যক্রম। এর আওতায় আয়কর রিটার্ন গ্রহণ, প্রাপ্তি স্বীকার , ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি সেবা দেয়া হচ্ছে এক ছাদের নিচে।
রবিবার (১৫ নভেম্বর ) সরেজমিনে দেখা গেছে করদাতাদের ব্যাপক উপস্থিতি। মেলা না হলেও সেখানে মেলার পরিবেশ। তবে, মেলার মত জমজমাট উপস্থিতি নেই। বরাবরের মত শেষের দিনগুলোতে করদাতাদের ভিড় বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কর অঞ্চল- ৪ চট্টগ্রাম কর অঞ্চল- ৪ এর অতিরিক্ত সহকারি- কর কমিশনার মো. গোলাম মোস্তফা জানান, বিপুল সংখ্যক করদাতা প্রতিদিন আসছেন এবং তাদেরকে আন্তরিকভাবে সেবা দেয়া হচ্ছে।
করদাতাদের একজন জানান যে প্রতিবছর তিনি আয়কর উপদেষ্টার সহায়তায় রিটার্ন জমা দেন। কারণ, তিনি মনে করতেন যে রিটার্ন দেয়া অনেক ঝামেলার । কিন্তু আজ এখানে এসে বুঝলেন যে প্রকৃতপক্ষে তা নয়। তিনি এভাবে রিটার্ন জমা দিতে পারায় কর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতেও এ ধরনের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যাবে। এ সময় বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে এনবিআর।
উল্লেখ্য, চলতি বছর বাজেট ঘোষণায় অনলাইন কর রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের দুই হাজার টাকা কর ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ভিয়েতনামের প্রতিষ্ঠান এফপিটি ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় ই-ট্যাক্স ফাইলিংয়ের অটোমেশন সফটওয়ারের কাজ এনবিআরকে বুঝিয়ে না দেওয়ায় সারাদেশের করদাতারা এ সুবিধা নিতে পাচ্ছেন না। পরে ঢাকার কয়েকটি কর অঞ্চল অনলাইন রিটার্ন দাখিলে আলাদা করে সেবা চালুর উদ্যোগ নেয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ( এনবিআর ) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন যে আগামী বছর সব করাঞ্চল থেকে অটোমেশন সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে। মাত্র এক পাতার ফরম পূরণ করে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন ৪ লাখ টাকার কম আয় ও ৪০ লাখ টাকার কম সম্পদের করদাতারা। তবে এর বাইরে অন্যদের বিস্তারিত তথ্যসহ ফরম পূরণ করতে হবে অনলাইনে। আজ রবিবার রাজধানীর পল্টনে করাঞ্চল-৬ কার্যালয়ে ই-রিটার্ন দাখিল সফটওয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।