বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: শেষ পর্যন্ত নাটকীয় কোন কিছু না হলে মাহবুবুল আলম টানা পঞ্চমবারের মত চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি হচ্ছেন। খবর নির্ভরযোগ্যসূত্রের।
আগামী ১০ জুন চিটাগাং চেম্বারের ভোট। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে থেকে আরও কয়েকজন সভাপতি পদের জন্য লবিং করেছেন সাংসদ ও চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি এম এ লতিফের কাছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাহবুবুল আলমকে তিনি সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
অবশ্,য চিটাগাং চেম্বার নির্বাচন নিয়ে অতীতে নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে। একেবারে শেষসময়ে সবকিছু ওলটপালট হয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে। সে রকম কিছু না হলে বর্তমান সভাপতি, খাতুনগঞ্জের আলম ট্রেডিং কর্পোরেশনের মাহবুবুল আলমের আবারও সভাপতির দায়িত্ব পাওয়াটা নিশ্চিত। এর কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে যে চেম্বারের বেশকিছু কর্ম পরিকল্পনার সাথে মাহবুবুল আলম ওতপ্রোতভাবে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেগুলো পেন্ডিং রয়েছে। বাস্তবায়নের জন্য তাই আবারও প্রয়োজন তাঁকে।
চিটাগাং চেম্বারের কার্যক্রম পরিচালিত হয় কার্যতঃ সাংসদ লতিফের নির্দেশে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটারই তাঁর হাতে। অর্থাৎ চেম্বারের নেতৃত্ব নির্বাচন একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে। তাঁর সমর্থনপুষ্ট ছাড়া কারও নেতৃত্বে আসার সুযোগ নেই। চেম্বারের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সাংসদের সম্মতিতে। সাংসদ তনয় ওমর হাজ্জাজ চেম্বারের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি। তবে, এবারে ওমরের নির্বাচন করার সম্ভাবনা কম। সাংসদ ঘনিষ্ঠসূত্রে জানা যায়, চেম্বার কার্যক্রমে সক্রিয় না থাকা এবং চেম্বারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা কয়েকজন এবারে বাদ পড়তে পারেন। বর্তমান কোন কোন পরিচালক আর ভোট করবেন না। পরিবর্তে তাদের ছেলেদের ব্যাপারে তদবির করছেন সাংসদের কাছে।
চলতি (২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১ ) মেয়াদের পরিচালকদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদের কেউ কেউ দু’বছরে দু’য়েকবারের বেশি চেম্বারের সভায় উপস্থিত ছিলেন না। আবার কেউ কেউ একবারও উপস্থিত ছিলেন না।
চিটাগাং চেম্বারের সাথে দূরত্ব ও নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে চিটাগাং মেট্রোপলিটন চেম্বার গঠিত হয় ২০০৯ সালে। এটার কার্যক্রমেও চরম হতাশ ব্যবসায়ীরা। কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ খলিলুর রহমান মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি।