এক দৃশ্যে মাহমুদউল্লাহকে দেখা যায় আঙুল উঁচু করে কী যেন ইশারা করছেন আকাশের দিকে। সংবাদমাধ্যমেও তাই প্রশ্ন ছিল, এমন উদযাপন ঠিক কী কারণে? এটা কি কোনো প্রতিবাদের ভাষা!
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
শতক হাঁকানোর পর মাহমুদউল্লাহর উদযাপনই যেন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেলেন। তার অঙ্গভঙ্গি যেন বলছিল, এই শতকটা কত মূল্যবান তার জন্য!
এক দৃশ্যে মাহমুদউল্লাহকে দেখা যায় আঙুল উঁচু করে কী যেন ইশারা করছেন আকাশের দিকে। সংবাদমাধ্যমেও তাই প্রশ্ন ছিল, এমন উদযাপন ঠিক কী কারণে? এটা কি কোনো প্রতিবাদের ভাষা!
যদিও রিয়াদ বলেন, ‘না কোনো প্রতিবাদের ভাষা ছিল না। ১০০ হয়েছে, এটা শুধু সেলিব্রেশন ছিল। যদি জিততে পারতাম তাহলে বুনো উল্লাস করতাম।’
তবে মাহমুদউল্লাহর অভিব্যক্তি বুঝাচ্ছিল, যেন তিনি কৃতজ্ঞতা আদায় করছেন আল্লাহর। যেন বলছেন, তোমরা কেউ না থাকলেও, আল্লাহ পাশে ছিলেন। যা অনেকটা পরিষ্কার করেন মাহমুদউল্লাহর স্ত্রী জান্নাতুল কেফায়েত মিষ্টি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে মিস্টি লেখেন, ‘সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ, মাঝে মাঝে আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করেন তার আরো কাছে যাওয়ার জন্য। একজন মুমিন যদি আল্লাহর পরিকল্পনার ওপর সবর ও আস্থা রাখতে পারে, তবে সে সেরা পুরস্কার পায়। মাশাআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।’
তিনি আরো লেখেন, ‘আমার স্বামী এমন একজন বিশ্বাসী। গত কয়েক মাস তিনি কেবল আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন, তিনি মসজিদেই সবচেয়ে শান্তি খুঁজে পেয়েছেন এবং আল্লাহর কাছে যা চেয়েছিলেন তা দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।’
ভুল বলেননি মিষ্টি। গত কয়েকটা মাস মাহমুদউল্লাহর সাথে যা ঘটেছে, তার সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষদর্শী তো তিনিই। বিশ্রামের কথা বলে দল থেকে বাহিরে রাখা হয়েছে ছয় মাস। মুখে না বললেও বুঝা যাচ্ছিল, দলের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় ছিলেন না রিয়াদ।
তবে তার পরিবর্তে সুযোগ পাওয়ারা নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারায়, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে আবারো ফেরানো হয় এই ক্রিকেটারকে। যদিও ওই সিরিজে স্বরূপে দেখা দিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ফলে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা।
বিশ্বকাপে জায়গা পেলেও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়েও ছিল শঙ্কা। এমনকি দ্বিতীয় ম্যাচে বাদও পড়ে যান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে ফিরেই যেন স্বরূপে মাহমুদউল্লাহ, আগের দুই ম্যাচে চল্লিশোর্ধ রানের ইনিংসের পর এবার একেবারে তিন অঙ্কের ঘরে। বিশ্বকাপে তুলে নেন নিজের তৃতীয় শতক, যদিও জেতাতে পারেননি দলকে।