বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
মা-মেয়েসহ পাঁচজনকে রশিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় কক্সবজারের চকরিয়ার হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব এ পরোয়ানা জারি করেন বুধবার। আসামিরা হলেন হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম, তার সহযোগী নজরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, রাজিব, কবির, গ্রাম পুলিশ নুরুল আমিন ও গ্রাম পুলিশ আহমদ হোসন। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন ও নাছির উদ্দিন গ্রেপ্তার হয়ে ২৫ আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন।
চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মো. মতিউল ইসলাম। প্রতিবেদনে মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আটজনের সম্পৃক্ততার কথা উঠে আসে। পরে বিচারক রাজিব কুমার দেব ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
চকরিয়া হারবাংয়ের আলোচিত ঘটনায় ২৪ আগস্ট চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্বপ্রণোদিত মামলা নেয়। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন বিচারক রাজিব কুমার দেব।
অভিযোগে জানা যায়, ২১ আগস্ট গরু চুরির অভিযোগে মা ও দুই মেয়েসহ পাঁচজনকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাদের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা হাঁটিয়ে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে এসে দ্বিতীয় দফা নির্যাতন চালান চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। নির্যাতনের ভিডিওচিত্র গণমাধ্যম ও ফেইসবুকে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট এএইচ শহীদুল্লাহ চৌধুরী জানান, উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব ২৪ আগস্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি চকরিয়া সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মতিউল ইসলামকে প্রধান করে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গরু চুরির অপবাদে নির্যাতনের শিকার মা বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।