‘এর আগেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে সে ঘোষণা থেকে সরে এসেছে। অথচ চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে এ শহরের মূল বেনিফিসিয়ারি।’
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: মা ও শিশু হাসপাতালের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুত ৫০ লাখ টাকা অনুদান চট্টগ্রাম বিদ্বেষী কিছু কর্মকর্তা আটকে রেখেছেন। আইনি জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
এই অভিযোগ করলেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকালে মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সাথে মতবিনিময় শেষে ক্যান্সার হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এই অভিযোগ করে এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এর আগেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে সে ঘোষণা থেকে সরে এসেছে। অথচ চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে এ শহরের মূল বেনিফিসিয়ারি। চট্টগ্রাম বন্দর চাইলে এ শহরের মানুষের চিকিৎসাসেবায় প্রয়োজনীয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই চট্টগ্রামবাসীর চিকিৎসা সেবায় ঘোষিত ৫০ লাখ টাকা অনুদান ছাড় দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান সুজন।
তিনি ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার লক্ষে্য প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
হাসপাতালটির কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহের লক্ষে নাগরিক উদ্যোগ এবং পরিচালনা পর্ষদকে সাথে নিয়ে যৌথভাবে রোড শো করার কথাও ঘোষণা করেন সুজন। চট্টগ্রামের সকল জনপ্রতিনিধিদের সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সাথে যোগাযোগ করে ক্যান্সার হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদ ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যান্সার হাসপাতাল এ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট নির্মাণের যে মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা চট্টগ্রামবাসীর জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি। হাসপাতালটি নির্মিত হলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সকল জেলার ক্যান্সার রোগীরা এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা পাবে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরেই জেলায় দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। কোভিড চিকিৎসায়ও মা ও শিশু হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। কোভিডের ভয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো যখন জনগনের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো সে ক্রান্তিলগ্নে চট্টগ্রামের জনগনের চিকিৎসাসেবায় ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলো চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর ডাঃ এম.এ তাহের খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার লায়ন মো. জাবেদ আবছার চৌধুরী, জেনারেল সেক্রেটারি মো. রেজাউল করিম আজাদ, নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রহমান মিয়া, পরিচালনা পর্ষদের কার্যনির্বাহী সদস্য কায়েস আহমেদ ভুঁইয়া, মো. হারুন ইউসুফ, এ.এস.এম জাফর, মো. শাহজাহান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু প্রমূখ।