Home Second Lead মা-শিশু হাসপাতালের সহায়তায় প্রতিদিন এগিয়ে আসছেন বিত্তবানরা

মা-শিশু হাসপাতালের সহায়তায় প্রতিদিন এগিয়ে আসছেন বিত্তবানরা

মা ও শিশু হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা অক্সিজেন হস্তান্তর করছন ওয়েল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম

শনিবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও প্রটেকটিভ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উপদেষ্টা মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম, হাটহাজারীর চিকনদন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি, লন্ডন সাহায্য প্রদান করেছেন।

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন শিল্পপতি ও দানশীল মানুষেরা। প্রায় প্রতিদিন তারা বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং নগদ অর্থ প্রদান করছেন।

মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল কার্যনির্বাহি কমিটির ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ এ প্রসঙ্গে বলেন, চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী, জনহিতকর ও স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। জনসাধারণের অর্থানুকূল্যে এটি পরিচালিত হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে এখানে করোনা চিকিৎসা সেবা শুরু করার পর সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজন তাদের সহায়তার হাতকে আরও জোরদার করেছেন। এমন কি কোন কোন ব্যক্তি নিজের নাম সম্পূর্ণ গোপন রেখে বিপুল আর্থিক সাহায্য করেছেন। কার্যনির্বাহি কমিটি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দক্ষতা দিয়ে হাসপাতাল পরিচালনা করছেন। একটি টাকাও এখানে এদিক ওদিক হওয়ার কোন উপায় নেই। কমিটি এই আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে বলে দানশীল ব্যক্তিরা উদার হস্তে এগিয়ে আসছেন। প্রায় প্রতিদিন কেউ না কেউ এ ব্যাপারে যোগাযোগ করছেন আমাদের সাথে।

শনিবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও প্রটেকটিভ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উপদেষ্টা মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম, হাটহাজারীর চিকনদন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি, লন্ডন সাহায্য প্রদান করেছেন।

আবদুচ ছালাম

ওয়েল গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং সিডিএ সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ২টি হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা অক্সিজেন প্রদান করেছেন।

শনিবার চট্টগ্রাম ক্লাবে আয়োজিত সীমিত পরিসরের এক অনুষ্ঠানে হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা অক্সিজেন দুটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। আবদুচ ছালাম বলেন, ওয়েল গ্রুপ সবসময় মানবতার কল্যানে পাশে থেকেছে আগামীতেও যে কোন অবস্থায় মানবতার ডাকে সাড়া দিবে।

বলেন, মানবতার কল্যানে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। চলমান বিশ্ব মহামারী করোনার সংক্রমন কোন নির্দিষ্ট এলাকা, দেশ, জাতি, গোষ্ঠি কিংবা দলের উপর নয়। বরং সমগ্র মানব জাতিকে এক প্রকার হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাই এর বিরুদ্ধে যুদ্ধটাও আমাদের

সংকট মোকাবেলায় একটি বলিষ্ঠ নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সৌভাগ্য আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মত একজন বিচক্ষণ, সাহসী ও বলিষ্ঠ নেত্রীকে আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছি। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অগ্রগতিতে যেমন তিনি বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন, তেমনি করোনার মত সংকট মোকাবেলায় সময়োচিৎ, সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহন করে বিশ্ব সভার প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম

মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম

চিটগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি, প্রটেকটিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উপদেষ্টা মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম এক লাখ টাকা ও ৫টি হুইল চেয়ার প্রদান করেছেন মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালকে। হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক এবং অন্যান্য কর্মিদের ৪ দিনের খাবারের ব্যয় বাবৎ ঐ টাকা দেয়া হয়েছে। আগামীতেও হাসপাতালটির প্রতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মোহাম্মদ ইকবাল

ব্যবসায়ী ও হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল  দু’টি হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা অক্সিজেন প্রদান করেছেন। আজ শনিবার মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কার্যনির্বাহি কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোরশেদ হোসেন, ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ, সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আলী আশরাফ প্রমুখ।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি, লন্ডন

মা-শিশু হাসপাতালকে রোগীদের জন্য ১৫ টি বেড দিয়েছে লন্ডনস্থ বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি। বেড বাবৎ ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে আজ শনিবার।

১৯৭৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক শিশু বর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রামের কিছু মহৎ প্রাণ সমাজ হিতৈষী ব্যক্তি বর্গের উদ্যোগে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা লাভ করে।  প্রাথমিক ভাবে শুধুমাত্র শিশু স্বাস্থ্য বহির্বিভাগের মাধ্যমে এই হাসপাতালের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এটি ৬৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ জেনারেল হাসপাতাল