- অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিরসন হলে রোগী ভর্তি
- চিকিৎসা সেবার ব্যয় রোগীদের সামর্থের মধ্যে
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: সব আয়োজন চূড়ান্ত। তারপরও আটকে গেছে আগ্রাবাদে অবস্থিত চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটে চিকিৎসা সেবা শুরু।
গত সপ্তাহের মধ্যে করোনা ইউনিট চালুর জন্য অবকাঠামোগত যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। চালু হবে বলে জানানো হয়েছিল। বিজনেসটুডে২৪ এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই সংবাদ সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দেয়। কেউ কেউ কার্যনির্বাহি কমিটির সাথে যোগাযোগ করে সহযোগিতায় আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন। হাসপাতাল সেবা কার্যক্রমে অভিজ্ঞ একজন জীবন সদস্য ৩টি ভেন্টিলেটার এবং মোটা অংকের আর্থিক অনুদানের কথাও জানিয়েছেন। করোনা ইউনিটের ডিজাইনে কিছুটা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সব প্রস্তুতির পরও কেন চালু হয়নি তা জানতে হাসপাতালের কার্যনির্বাহি কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক এম এ তাহের খান-এর মুঠোফোনে কল দেয়া হয়। সাড়া মেলেনি।
কার্যনির্বাহি কমিটির ট্র্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গত সপ্তাহে চালু করা যায়নি। তা নিরসন হলে করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি শুরু হবে বলে উল্লেখ করেন। অভ্যন্তরীণ সমস্যার একই সঙ্গে আর্থিক সংকটও রয়েছে বলে জানান। অভ্যন্তরীণ সমস্যাটা কি সেটা খোলাসা করতে চাননিরেজাউল করিম আজাদ।
চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে নব নির্মিত ভবনে করোনা রোগী চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ২০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার এবং ৫০ শয্যার ফ্লু কর্নার। সেন্টারে চিকিৎসা সেবা পাবেন করোনা আক্রান্তরা। আপাতত দু’টি ভেন্টিলেটার রাখা হয়েছে এবং আরও দু’টি সংযোজিত হবে । তাছাড়া, হাসপাতালের আইসিইউতে১১টি রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলোও ব্যবহার করা যাবে। জ্বর, সর্দি, কাঁশি ইত্যাদি করোনার উপসর্গ নিয়ে যারা আসবেন প্রাথমিকভাবে তাদের চিকিৎসার জন্য ফ্লু কর্নার। কার্যনির্বাহি কমিটি সূত্রে জানা যায়, করোনা ইউনিটে রোগীদের চিকিৎসা সেবার ব্যয় হবে হাসপাতালের অন্যান্য ইউনিটের অনুরূপ। অর্থাৎ সাধারণ রোগীদের সামর্থের মধ্যে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিনামূল্যে।
চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী, জনহিতকর ও স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষ এবং বিত্তবানদের অর্থানুকূল্যে এটি পরিচালিত ।
১৯৭৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক শিশু বর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রামের কিছু মহৎ প্রাণ সমাজ হিতৈষী ব্যক্তি বর্গের উদ্যোগে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রাথমিক ভাবে শুধুমাত্র শিশু স্বাস্থ্য বহির্বিভাগের মাধ্যমে এই হাসপাতালের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এটি ৬৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ জেনারেল হাসপাতাল ।