ইমাম হোসেন,মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে: দূর থেকে তাকালেই দেখা যায় সবুজের সঙ্গে দুলছে রঙিন ফুল। সাদা এবং বেগুনি রঙের মনোমুগ্ধকর ফুলে প্রকৃতি যেন একাকার। মীরসরাইতে শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। শীত মৌসুমে মনোরম পরিবেশে শিমের ফুলে ভরে উঠেছে মাঠ-ঘাট, খাল-বিল ও ঘের-পুকুরের পাড়। শিমের বাম্পার ফলন ও শিমের ভালো বাজার মূল্য থাকায় উপজেলার শিম চাষিদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ঝিলিক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, বারইয়ারহাট, জোরারগঞ্জ, সোনাপাহাড়, দুর্গাপুর,মিঠাছড়া, মীরসরাই সদর, বড়তাকিয়া, আবুতোরাব,মায়ানী,সাহেরখালী,নি জামপুর, মঘাদিয়া জুড়ে শুধু শিম আর শিম।
এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের চার পাশের শিম চাষও যেন এক অপরুপ সৌন্দর্য। অন্যান্য সবজি ক্ষেত, ধান ও মাছের ঘেরের আইলেও করা হয়েছে শিম চাষ।
চাষীরা ক্ষেত থেকে প্রতিদিন দফায় দফায় তুলছেন শিম। এতে চাষিরা মহাখুশি। ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত প্রায় একই রকম ফলন হবে।
শিমচাষিরা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর শিমের ভালো ফলন হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় দামও বেশি। বাজারে শিমের চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারদের শিম দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চাষীদের। বর্তমানে খুচরা ও পাইকার বাজারে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা মৌসুমের শুরুতে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হত বলে জানায় তারা।
উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কাজী নুরুল আলম জানান, এবার মীরসরাই উপজেলায় প্রায় ৬২০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে ১২-১৫ টন করে প্রায় ১৪ টন শিম উৎপাদন হয়।
এবার সবুজ-বেগুনি ও লাল ফুল জাতের শিম বেশি চাষ করেছে চাষিরা।
তিনি বলেন, দেশে পঞ্চাশটিরও বেশি স্থানীয় শিমের জাত আছে। এগুলোর মধ্যে চ্যাপ্টা শিম, চুরি শিম, বাটা শিম, কাতিঘোড়া শিম, রুপবান ইত্যাদি আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতের সিম এখানে বেশি চাষ হয়।