বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
মুদারাবা সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ছাড়বে বলে জানিয়েছে এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড। বন্ড ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলন করার কথা জানিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে জানিয়েছেন এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ।
তিনি বলেন, বন্ডটির উত্তোলিত অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি টায়ার-টু এর মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডটির মেয়াদ হবে ৭ বছর। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বন্ডটির চূড়ান্ত অনুমোদন দিবে।
যা শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, কর্পোরেট হাউজ, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এই ইউনিট কিনতে পারবে।
এর আগের ২০১৭ সালে শেয়ারবজার থেকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল এক্সিম ব্যাংক। বন্ডটির বৈশিষ্ট্য ছিল, শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য নয় এবং মুদারাবা সাবওর্ডিনেটেড বন্ড। বন্ডটি মেয়াদও ছিল ৭ বছর।
করোনাভাইরাসের কারণে গেল বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে এক্সিম ব্যাংকের। মহামারির মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা যেন ফুলেফেঁপে উঠেছে। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির মুনাফা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৯৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩১ পয়সা। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৬৫ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকের পাশাপাশি ছয় মাসের হিসাবেও কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৬ পয়সা।
মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৭ পয়সা, যা ২০১৯ সালের জুন শেষে ছিল ২০ টাকা ৫৪ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারিটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১৪ টাকা ৫২ পয়সা। ২০১৯ সালের সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ার প্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ৪ টাকা ৩৬ পয়সা।