বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: সাংবাদিক মুন্নী সাহা এবং তার স্বামী কবির হোসেন তাপসের বিরুদ্ধে ‘১৩৪ কোটি টাকার’ লেনদেন এবং ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।
কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেও মুন্নী সাহা ও কবির হোসেন তাপসের ব্যাংক হিসাবে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেনের খবর প্রকাশিত হয়। বর্তমানে স্থগিত থাকা মুন্নী সাহার অ্যাকাউন্টে ১৪ কোটি টাকা থাকার কথা বলা হয় সেখানে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর কারওয়ান বাজারে নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে এক দল লোকের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন মুন্নী সাহা। পরে তাকে আটক করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা থাকার তথ্য দিয়ে তাকে নেওয়া হয় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে।
চার ঘণ্টা পর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয় মুন্নী সাহাকে। পুলিশ ‘স্বপ্রণোদিত’ হয়ে তাকে গ্রেপ্তার না করায় এবং তার বিরুদ্ধে থাকা মামলার প্রেক্ষিতে ‘আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে’ ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা সে সময় জানিয়েছিলেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
মুন্নী সাহা ‘এক টাকার খবর’ নামে একটি সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক। আর কবির হোসেন তাপস এমএস প্রমোশনাল নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার স্বত্ত্বাধিকারী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নাঈম হাওলাদার নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তার বাবা মো. কামরুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের একাধিক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় এটিএন নিউজের সাবেক বার্তা প্রধান মুন্নী সাহাসহ সাত সাংবাদিককেও আসামি করা হয়।
গত বছরের ৬ অক্টোবর মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানতে চেয়ে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে তার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, এক্সচেঞ্জ, লকার ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের তথ্য চাওয়া হয়।