*কুরআন-সুন্নাহর সঠিক বার্তা সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে হবে*
চট্টগ্রাম: জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে রবিবার ঐতিহাসিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে ঢাকায় নিযুক্ত ইরাকের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. আব্দুলসালাম সাদ্দাম মোহাইসেন প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, সমগ্র মুসলিম উম্মাহ্ আজ গভীর সংকটে নিপতিত। ঈমান আক্বিদার ক্ষেত্রে পিছুটান এবং সঠিক কর্মতপরতা না থাকায় মুসলমানরা দেশে দেশে মার খাচ্ছে। আমাদেরকে ঈমানী শক্তিতে জেগে উঠতে হবে। ভেদাভেদ হানাহানি ভুলে মুসলিম দেশগুলোকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির ক্ষেত্রে অনন্য মডেল বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
রজভীয়া নূরীয়া কমিটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে এই তফসির মাহফিল। রজভীয়া নূরীয়া কমিটি বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কাউছার হামিদ সভাপতিত্ব করেন।
এ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সী (বিএনএ)’র সম্পাদক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মজুমদার। মাহফিলে বিভিন্ন সূরা থেকে দরস পেশ করেন আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট ও আহলে সুন্নাতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব পীরে তরিক্বত আল্লামা মুহাম্মদ আবুল কাশেম নূরী (মু.জি.আ), আল আমিন বারিয়া কামিল মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস পীরে তরিক্বত আল্লামা কাযী মুুহাম্মদ শাহেদুর রহমান হাশেমী (মু.জি.আ), মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও দাওয়াতী ঈমানী বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরী (মু.জি.আ)। মুফাস্সিরগণ বলেন, কুরআন সুন্নাহর ইচ্ছাকৃত মনগড়া ব্যাখ্যা থেকেই দেশে দেশে জঙ্গিবাদ উদ্ধত ফণা তুলছে। তাই, ইসলামের শান্তির বাণী সর্বস্তরের মানুষের মাঝে যুগোপযোগী পন্থায় তুলে ধরে ঈমানী দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মানবিক কাজে অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন মানবিক পুলিশ শওকত হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রদূতের ছেলে আহমদ আব্দুলসালাম সাদ্দাম, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, আহলে সুন্নাতের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরে তরিক্বত আল্লামা হারুনুর রশিদ রেজভী, পীরে তরিক্বত আল্লামা মুতাসিম বিল্লাহ্, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহ্ জালাল, মাওলানা মুুহাম্মদ জিয়াউল হক, মাওলানা মাসউদ রেজভী, মাওলানা গোলাম রাব্বানী কাসেমী, মো. জামাল শিকদার, আল্লামা আবুল কালাম আজাদ, এ এম এম সোবাইর কাউয়াল।
মাহফিল সঞ্চালনায় ছিলেন রজভীয়া নূরীয়া কমিটি বাংলাদেশের মহাসচিব মোহাম্মদ মিঞা জুনাঈদ এবং সদস্য সচিব মুুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী।
পীরে তরিক্বত আল্লামা আবুল কাশেম নূরী বলেন, আল্লাহ পাক কুরআন মজিদে নিজেই বলেছেন, কুরআন মজিদ পাঠে কেউ সপথে যাবে, আবার কেউ হবে পথভ্রষ্ট। তাই, কুরআন মজিদকে বুঝতে হলে বাতেনী বা অন্তর্চক্ষু লাগবে।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি