Home আইন-আদালত কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর কেরানীগঞ্জে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া গ্রামের কামির উদ্দিনের ছেলে সজীব (২৫), ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে রাকিব (২৩) এবং শরীয়তপুরের পালং থানার মুসলিম মাতবরের ছেলে শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন (২৬)।

মামলার অপর দুই আসামি আলী আকবর (২২) ও রিয়াজের (২২) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেন আদালত। ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এরশাদ আলম জর্জ সাংবাদিকদের বলেন, লাশ গুমের ঘটনায় তাদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কারাগারে থাকা তিন আসামি রাকিব, রিয়াজ এবং শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।

রায় শেষে দণ্ডিত রাকিব এবং শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে দণ্ডিত সজীব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তিনি আরও বলেন, আসামিদের স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১১ জুন জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জের আঁটিবাজার এলাকার পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের সামনে পুকুর থেকে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। প্রথমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ভুক্তভোগীর এক বান্ধবী সাক্ষী হিসেবে আদালতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ শাওন নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

 শাওন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় এবং জানায়, সে মো. রাকিব, মো. সজিব ও মো.আলী আকবর মিলে ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের পানিতে ফেলে রাখে। পরে রাকিব এবং সজিবকে গ্রেফতার করা হয়। তারাও একই কথা বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

মামলাটি তদন্ত করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর অলক কুমার দে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।