আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো.আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদির মেয়ে সাদিয়া আফরিন রিতার সাথে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় আসামি। বিবাহের পর হতে তাদের মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। আসামি স্ত্রীকে মানষিক ও শারিরীক নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি বাদির শাশুড়ির মোবাইলে আসামি ফোন করে জানায়, তার মেয়ের খুব জেদ, দু’দিন যাবৎ সে বাসায় আসেনি, তার যদি কিছু হয় সে জন্য আসামি দায়ী থাকবে না এই বলে মোবাইল কেটে দেয়। এরপর থেকে আসামির মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। আসামির শাশুড়ি গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় মিরপুরের বাসায় এসে তালা বন্ধ অবস্থায় দেখে পাশের ফ্লাটের বাড়ীওয়ালার বোনকে জিজ্ঞাসা করলে সে তাকে জানায়, তাদের মেয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া ঝাটি করে একটি ব্যাগ নিয়ে চলে গেছে। এই কথা শুনে শাশুড়ি বাড়ী ফিরে যায়। এরপর মামলার বাদি ঢাকা শহরে তার নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের কাছে মেয়ের খোঁজখবর নিতে থাকে। ১৭ জানুয়ারি পুলিশ এসে বাদিকে জানায়, তার মেয়ে ঢাকার বাসায় মারা গেছে। তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে।
সংবাদ পেয়ে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে ভিকটিম সাদিয়া আফরিন রিতার লাশ দেহ হতে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পায়। তার ডান পায়ের উরু ও হাটুর নিচে এবং ডান হাতের বগলের উপরে গুরুতর জখমের চিহ্ন ছিল।
এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি ভিকটিমের বাবা মতিয়ার রহমান বাদি হয়ে মিরপুর থানায় মামলা করে। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার এসআই মোহাম্মদ সেলিম একই বছরের ৫ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০ এপ্রিল একই আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১৮ জনের মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
-সূত্র বাসস