চট্টগ্রামে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগীদের দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গিয়ে লিফট ছিঁড়ে আহত হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় তাঁর সঙ্গে লিফটের মধ্যে দলের বেশ কয়েকজন নেতা ও লিফট অপারেটর সত্যপ্রিয় বড়ুয়া ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে চমেক হাসপাতালের ৫ তলার অর্থোপেডিক ওয়ার্ড থেকে ৩ নম্বর লিফটে চড়ে নামার সময় নিচতলার কাছাকাছি এসে বিকট আওয়াজে লিফটটি ছিঁড়ে পড়ে। তবে এতে কারো গুরুতর কোনো ক্ষতি হয়নি। কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়নি। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন সবাই।
লিফট অপারেটর সত্যপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, রাতদিন ২৪ ঘণ্টা লিফটটি চলে, কোনো বিশ্রাম না থাকায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, পেশাজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মো. এম এ আজিজ, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী বেলাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদুল ইসলাম রাসেল ও ইয়াসিন চৌধুরী লিটন।
গতকাল রোববার সকালে মহানগরীর পাথরঘাটা এলাকায় একটি বাড়ির গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে আজ দুপুরে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে চমেক হাসপাতালে যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। নিজের একান্ত সচিব মো. সেলিমসহ অন্য নেতাকর্মীদের নিচে রেখে কয়েকজনকে নিয়ে অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে যান তিনি। সেখান থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ফোন করে মো. সেলিমকে জানালে সবাই মিলে দরজা টেনে তাঁদের বের করেন।
পরে পেশাজীবী নেতা ডা. খুরশিদ জামিল চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আক্তারুল আলমকে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান।