স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহীদের জয় জয়কার
মেহেরপুর থেকে জাহিদ মাহমুদ: ২য় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেহেরপুরের নৌকা প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।
জেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ২টি ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থী জিতেছে। বাকি ৭টি ইউনিয়নে জিতেছে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থী। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের একটিতেও নৌকা প্রার্থী জিততে পারেনি। গাংনী থানার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টি ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থী জিতেছে। কোন কোন ইউনিয়নে কোন প্রতিদ্বন্দ্বীতায় গড়ে তুলতে পারেনি নৌকা প্রার্থীরা।
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মুজিবনগরের ৪ ইউনিয়নে সবকটিতেই বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ৪টি ইউনিয়নে ৪০টি কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দেন। ভোটকেন্দ্রগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট। কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। মুজিবনগরের ৪ ইউনিয়নেই নৌকার প্রার্থীদের শতভাগ পরাজয় হয়েছে।
উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৮০ হাজার ৪শ ৫৫। ভোট পোল হয়েছে ৬৩ হাজার ৩শ ৪। ভোট পোলের হার ৭৮ দশমিক ৬৮ ভাগ। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৬শ ৯৩।রাতেই স্ব স্ব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আমাম হোসেন মিলু আনারস প্রতীক নিয়ে মাত্র ৯৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ১শ ৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান নান্নু নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৪১ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মিসকিন মোহাম্মদ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬শ ৩১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৬ ভোট।
মহাজনপুর ইউনিয়নে ৯টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৫শ ৬৯। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১২ হাজার ৮শ ৭৫। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২শ ১১।
বাগোয়ান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আয়ুব হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৭শ ৪২ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৭শ ৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ৯শ ৯২ ভোট। বাগোয়ান ইউনিয়নে ১৩টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৭১। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ২৩ হাজার ৭শ ২৬। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ১শ ৫৭।
মোনাখালী ইউনিয়নে মফিজুর রহমান মফিজ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪শ ৪৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ২শ ৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোনাখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম গাইন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭শ ১২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৪শ ৬১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫ ভোট। মোনাখালী ইউনিয়নে ৯টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৪শ ৯৪। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৩ হাজার ৫শ ২৩। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৮০।
দারিয়াপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহবুব আলম রবি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৭শ ৯১ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৯শ ৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুস্তাকিম হক নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ১শ ৫৩ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল হক চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৯শ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৭শ ৯০ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান তৌফিকুল বারী অটোরিক্সা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৪শ ৯৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন নাবুল আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ২শ ৪ ভোট। দারিয়াপুর ইউনিয়নে ৯টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৩শ ২১। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১২ হাজার ৪শ ৮৭। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২শ ৪৫।
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে গাংনীর ৫টি ইউনিয়নে ৫৩টি কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দেন। ভোটকেন্দ্রগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট। কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
গাংনীর ৫ ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩টি এবং নৌকা প্রার্থী ২টিতে বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৭শ ২৪। ভোট পোল হয়েছে ৯২ হাজার ২শ ৬০। ভোট পোলের হার ৭৭ দশমিক ৭০ ভাগ। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ২শ ৭৫।বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদ ১২ হাজার ৭শ ১৮ ভোটের বড় ব্যবধানে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে আবারও বিজয়ী হয়েছেন। সোহেল আহমেদ আনারস প্রতীক নিয়ে ১৮ হাজার ৩শ ২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মটমুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৬শ ২ ভোট। এই যুবলীগ নেতা সোহেল আহমেদ গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবুল হাশেমকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুস ছালাম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬শ ১৯ ভোট। মটমুড়া ইউনিয়নে ১১টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৪ হাজার ৮শ ৬৭। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ২৪ হাজার ৫শ ৪১। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৬শ ৭৬।
সাহারবাটি ইউনিয়নে মশিউর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৬শ ৪২ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৬শ ৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম টুটুল মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯শ ৯২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী বাসিরুল আজিজ বিশ্বাস চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী বাবলু হোসেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২শ ৯৪ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানারুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮১ ভোট। সাহারবাটি ইউনিয়নে ৯টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ২শ ৫২। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৫। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২শ ৪৩।
বামন্দী ইউনিয়নে ওবাইদুর রহমান কমল নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৬শ ৯১ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৫শ ২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৮শ ৮৩ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৮শ ৪১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২শ ৯৯ ভোট। বামন্দী ইউনিয়নে ৯টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৫শ ১৪। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫শ ৫৭। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৪শ ৯২।
কাথুলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা আনারস প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৭শ ৮২ ভোটে আবারও বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৭শ ৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীগ নেতা আবুল বাসার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ২ ভোট। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থী গোলজার হোসেন ৩ হাজার ২ ভোট পেয়ে রয়েছেন ৩য় অবস্থানে। স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব আলী দুটি পাতা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৩শ ৬৫ ভোট। কাথুলী ইউনিয়নে ৯টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৫শ ৫৬। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৫ হাজার ১শ ৫৩। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৩শ ১৬।
এছাড়া তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নাজমুল হুদা বিশ্বাস আনারস প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৩শ ৬১ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৮শ ২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সমর্থিত মোতালেব হোসেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪শ ৬৮ ভোট। এই ইউনিয়নেও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ৪ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে রয়েছেন ৩য় অবস্থানে। বিএনপি সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৯শ ১২ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এনামুল হক হাত পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪শ ভোট। তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে ৯টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৫শ ৩৫। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৮ হাজার ৬শ ৮৯। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৫শ ৪৮।
এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ হিসাবে একাধিক নেতা ও কর্মী জানিয়েছে মেহেরপুর আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল, যোগ্য প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক না দেয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে জামাত বিএনপির একত্মতা প্রকাশ।
মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীদের প্রশাসন কোন সহযোগিতা করেনি বরং বিদ্রোহী প্রার্থীদের সহযোগিতা করেছেন। এভাবে নৌকা প্রতীক দিয়ে নির্বাচন হলে আগামী প্রতিটি ভোটেই আমরা হারবো।
তিনি আরো বলেন, মেহেরপুর আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী মহল বিদ্রোহীদের পক্ষে গোপনে অবস্থান নিয়েছিলেন। যেমন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম শাহিনকে প্রকাশ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচার প্রচারণায় দেখা গিয়েছে।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, এবার মানুষ স্বতঃস্ফুতভাবে ভোট দিয়েছে। প্রশাসনের ভূমিকাও ছিলো নিরপেক্ষ। জামাত বিএনপির কর্মীরা সহজে ভোট কেন্দ্রে যেতে পেরেছে। বিদ্রোহীরা দলের ২০ ভাগ ভোটে ভাগ বসিয়েছে। এর সাথে জামাত বিএনপির ভোট যোগ হওয়ায় তারা জিতেছে।