Home নির্বাচন মোংলায় বিএনপির মেয়রসহ ১৫ প্রার্থীর ভোট বর্জন

মোংলায় বিএনপির মেয়রসহ ১৫ প্রার্থীর ভোট বর্জন

সংগৃহীত

বাগেরহাট: ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী ভোট বর্জন করেছেন। একই সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত ১২ জন কাউন্সিলর ও স্বতন্ত্র দুই কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের মাদ্রাসা রোডে নিজ বাসভবনের নির্বাচনী অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় মেয়রের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত সকল কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলী অভিযোগ করে বলেন, ভোট শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি কেন্দ্রে দখল করে নেয় আওয়ামী সমর্থকরা। তারা ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দেখিয়ে দিতে এবং সাধারণ ভোটারদের বাধা প্রদান করে। বাধা পেরিয়ে কেউ কেউ যেতে পারলেও ক্ষমতাসীনদের ক্যাডারদের সামনে তাদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এভাবে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আমি নিজে কয়েকটি কেন্দ্রে এমনি ভোট ডাকাতির চিত্র দেখেছি। প্রতিটি কেন্দ্রে তার এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।

এ সময় মেয়র দাবি করেন, প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে তিনি পাননি। ভোটের আগের দিন রাতভর তার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা ও মারধর করেছে বলেও দাবি করেন। গত রাতে তার ২৭ জনসহ সকাল পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত লোকজনকে মারধর করে আহত করা হয়েছে।

বর্জন করা কাউন্সিলররা হলেন, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিব ফকির, মাইনুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইমান হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সুমন মল্লিক, ইউনুস আলী, ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এমরান হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যাড. মো. হোসেন, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আলাউদ্দীন, ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ কাদের, সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কমলা বেগম, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী লিলি বেগম, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আয়শা বেগম।

কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হোসেন ও আলাউদ্দিন বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি ভালো থাকলেও তাদেরকে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। জোর করে তাদের ভোট নেওয়া হয়েছে।

কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম বলেন, র‌্যাব-পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

-বিজেনসটুডে২৪ ডেস্ক