বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
বাগেরহাট: রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের কাছে মোংলা বন্দর এখন বেশ জনপ্রিয়। যোগাযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন কারণে গাড়ি ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে মোংলাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বুধবার এক চালানে এল ৪৪৩ টি জাপানি গাড়ি। গাড়িগুলো খালাস চলছে পুরোদমে। শেড ও ইয়ার্ডে গাড়িগুলো রাখা হচ্ছে।
মালয়েশিয়া পতাকাবাহী এমভি মালয়েশিয়ান স্টার গাড়ির চালানটি নিয়ে ভিড়েছে। জাপানি রিকন্ডিশন্ড গাড়িগুলো সিঙ্গাপুর থেকে শিপমেন্ট হয়েছে। সেখান থেকে ৭৪২ টি গাড়ি নিয়ে জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে ২৫৯টি খালাসের পর বাকিগুলো নিয়ে ভিড়েছে মোংলায় ৭ নম্বর জেটিতে।
আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় সুযোগ সুবিধা বেশি হওয়ায় ব্যাবসায়ীরা মোংলা বন্দরে গাড়ি খালাস করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দুরত্ব ২০৮ কিলোমটিার। এখন মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌছানো যায়। তাই ব্যবসায়ীরা ঝামেলামুক্ত হিসেবে এই বন্দরকে বেছে নিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা প্রথমে জাপানের নাগোয়া, ইউকোহামা ও ওসাকা বন্দর থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনে সিঙ্গাপুরে মজুদ রাখেন। সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। শিপিং এজেন্ট মেসার্স খুলনা ট্রেডার্স লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, ৪৮৩টি গাড়ির মধ্যে রয়েছে এক্সজিও, প্রিমিও, এলিয়ন, অ্যাকোয়া, নোয়া, মিনিবাস ও অ্যাম্বুলেন্সসহ একাধিক ব্র্যান্ডের গাড়ি। গত ২৫ ডিসেস্বর ৮০৩টি গাড়ি নিয়ে এসেছিল এমভি মালয়েশিয়ান স্টার।
২০০৯ সালের ৩ জুন থেকে অটোমোবাইল কোম্পানি প্রথম ২৫৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দরে গাড়ি রাখার কার্যক্রম শুরু হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরে ফ্রি টাইমের চার দিন পর আমদানি করা গাড়ি রাখার রেন্ট বা ভাড়া বেশি, মোংলা বন্দরে কম। বেশিরভাগ আমদানিকারক খুলনার মোংলা বন্দরে আমদানি করা গাড়ি খালাস করেন। চট্টগ্রাম বন্দরে জাপানের বন্দর থেকে আসা গাড়িবাহী রো রো ভ্যাসেল ভিড়লে খালাস করা হয় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। বাকি ৭০ শতাংশ গাড়ি নিয়ে একই জাহাজ চলে যায় মোংলা বন্দরে।
বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে গাড়ি আমদানি ৭০ শতাংশ কমে গেছে। একটাই কারণ ফ্রি টাইমের পর গাড়ি রাখার বাড়তি ভাড়া। ব্যবসায়ীরা চান চট্টগ্রাম বন্দরেই আমদানি করা জাহাজ থেকে গাড়ি খালাস হোক। কিন্তু বাড়তি ভাড়ার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না।