Home Third Lead মোকামে কমলেও চট্টগ্রামে কমেনি চালের দর

মোকামে কমলেও চট্টগ্রামে কমেনি চালের দর

দাম বাড়ছে চালের



জুলহাজ ইব্রাহিম

চট্টগ্রামঃ
সরকারীভাবে চাল আমদানি ও বেসরকারী খাতে চাল আমদানির অনুমতি প্রদানসহ চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও চট্টগ্রামে এখনো কমেনি চালের দাম।

সরেজমিনে দেখা যায়, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে দাম না কমিয়ে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জাতের চাল। কিছু কিছু সিদ্ধ ও নতুন ধানের চাল গত সপ্তাহের তুলনায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে, অন্যান্য বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। ব্রি-ধান ৪৯ জাতের নতুন চালের ৫০ কেজির প্রতি বস্তা পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১৯৭০  টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০৪০ টাকা। নুরজাহান ব্র্যান্ডের চাল বস্তা প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২১৫০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা, মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি বস্তা ১৯০০ টাকা থেকে ১৯৫০ টাকা, ব্রি-ধান ২৯ জাতের পুরাতন চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি বস্তা ২৫০০ টাকা। এছাড়া জিরাশাইল চাল বস্তা প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৯৮০ টাকা থেকে ২০২০ টাকা পর্যন্ত।

চাক্তাইয়ের ‘আল্লাহর দান চাউল ভান্ডার’ এর সত্ত্বাধিকারি মো. নাছির উদ্দিন বিজনেসটুডে২৪-কে বলেন, ” আমদানিকৃত চাল এখনো বাজারে আসেনি, তাই চালের বাজারে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে দু’এক জাতের চালের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে।”

নতুন চাক্তাইয়ের ‘দরবার স্টোর’ এর স্বত্ত্বাধিকারী দোলন মহাজন বিজনেসটুডে২৪-কে বলেন, ” সরকারিভাবে আমদানিকৃত চাল বিক্রি করা হয় টিসিবির মাধ্যমে।  এছাড়া বেসরকারিভাবে আমদানিকৃত চাল বাজারে এখনো আসেনি। তাই চট্টগ্রামের বাজারে তার প্রভাব নেই।’’

তবে নতুন চাক্তাইয়ের ‘খাদ্য বিতান’ এর স্বত্ত্বাধিকারী বিমল কুমার দে বললেন ভিন্ন কথা। বিজনেসটুডে২৪-কে বলেন, ” চালের মোকামে দাম কমেছে এটা সত্য, তবে চট্টগ্রামের বৃহৎ চালের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের বেশির ভাগ আড়তেই আগের মজুদ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এই চাল দাম কমার আগে মোকাম থেকে বেশি দামেই কেনা। মোকামে দাম কমলেও এখানের ব্যবসায়ীরা তাই আগের দামেই বিক্রি করছে। ব্যবসায়ীরা তো আর বেশি দামে কেনা পণ্য দাম কমিয়ে বিক্রি করবে না। সব আড়তে মজুদ চাল বিক্রি শেষ হলে  হয়তো দাম কিছুটা কমে আসতে পারে। আপাতত এখন দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই।”

এদিকে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারি খাতে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি গুদামগুলোতে ১০ জানুয়ারী পর্যন্ত ৫ দশমিক ৩১ লাখ টন মজুদ রয়েছে।
আড়তদার ও মিলাররা মিলে কারসাজী করেই চালের দাম বাড়াচ্ছে বলে গত মাসে এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।