বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ফরিদপুর: মধুখালীতে মৌমাছির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে পথচারি এক যুবকের। আহত হয়েছে আরও ১৬ জন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে পশ্চিম গাড়াখোলা এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, একটি তেঁতুলগাছে মৌমাছির চাকে পাখি আক্রমণ করে। এসময় মৌমাছির দল উড়ে এসে পথচারীদের আক্রমণ করে।
নিহত যুবকের নাম শুশান্ত কুমার সাহা। তিনি পৌরসভার পশ্চিম গাড়াখোলা এলাকায় পরিমল কুমার সাহার ছেলে। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. কবির সরদার জানান, সন্ধ্যার কিছু আগে মৌমাছির কামড়ে আহত ১৭ জন রোগী আসেন। এর মধ্যে একজন আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। তার শরীরে অন্তত ২০-৩০টি কামড়ের চিহ্ন দেখা গেছে।
মৌমাছি আক্রমণাত্মক পতঙ্গ নয়। মৌমাছি সহজে হুল ফোটায় না। কেননা হুল ফোটালে মৌমাছি নিজেও অনেকসময় মারা যায়। এটি শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্য হুল ফোটায়। মৌমাছির লেজের দিকে হুল থাকে। হুল বিষাক্ত হওয়ায় মৌমাছির কামড়ে তীব্র যন্ত্রণা হয়ে থাকে। যদি মৌমাছি কাউকে ঝাঁক বেধে হুল ফোটায় তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পেঁয়াজ পাতা এবং কেরোসিন
সংশ্লিষ্ট একজন বিশেষজ্ঞ জানান যে, সবার প্রথমে মৌমাছির দংশনের পরে আক্রান্ত স্থানটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরিষ্কার করতে হবে। জ্বালা ভাব এবং ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে দংশনের জায়গায় এক টুকরো বরফ রাখা যেতে পারে। এছাড়াও এক কাপ জলে দু’ফোঁটা কর্পূরের রস মিশিয়ে পান করলেও তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়। তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে, পেঁয়াজ পাতার রস ও কেরোসিন তেল মিশিয়ে তুলো দিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে খুব উপকার পাওয়া যায়। এটি করলে কামড়ের জায়গায় জ্বালাপোড়া এবং ফোলা ভাব থেকে আরাম পাওয়া যায়।