Home First Lead যাত্রীচাপ কমে গেছে বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া নৌপথে

যাত্রীচাপ কমে গেছে বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া নৌপথে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

মাদারীপুর: যাত্রীদের চাপ কমতে শুরু করেছে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক। তবে, যাত্রী কম। সকাল থেকে যাত্রীবাহী পরিবহন কম আসায় লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীদের তেমন চাপ দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার আগেও যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিল চোখে পড়ার মত। রবিবার ভোর থেকে ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস ও হালকা যানবাহনও কমতে শুরু করেছে। সরেজমিনে রবিবার ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘাট এলাকায় অবস্থান করে দেখা যায়, ভোর থেকে নয়টা পর্যন্ত মোট পাঁচটি লঞ্চ শিমুলিয়া উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এতে প্রতিটি লঞ্চে ১০০ জন করে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। তবে শিমুলিয়া থেকে আসা লঞ্চগুলোতেও তেমন যাত্রী চোখে পড়েনি।

মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালি এলাকা থেকে আসা আসা আহম্মদ বলেন, আগে অনেক ভিড় থাকতো, আজ নৌপথে নৌযানে যাত্রীদের চাপ একটু কমেছে। আমাদের ওখান থেকে সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার মত গাড়ি না পেয়ে ভেঙে ভেঙে এইখান দিয়ে যাচ্ছি।

স্পিডবোটের যাত্রী রওশন বলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়িতে উঠতে পারিনি। তাই লঞ্চে যাচ্ছি। ফেরার পথে সেতু দিয়ে আসবো ইনশা আল্লাহ। বোটে ১৫০ টাকার ভাড়া ১৭০ নিল।

বাংলাবাজার ঘাটে থাকা এমভি ওয়াটার ওয়েজ নেভিগেশন কোং নামে লঞ্চের সহকারী মহিউদ্দিন বলেন, সকাল থেকেই আমাদের সমিতির নির্দেশনা অনুযায়ী ঘাট থেকে লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রী কমে গেছে অনেক। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই লঞ্চ চালাচ্ছি। কোনো সমস্যা নেই।

বাংলাবাজার ঘাটে টার্মিনালে থাকা লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার খলিল মোল্লা বলেন, ভোর থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত ৪টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। ভাড়া আগের মতই আছে। মালিক সমিতি ও সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ধারণক্ষমতা অনুযায়ী লঞ্চ চলাচল করছে।

বাংলাবাজার স্পিড ঘাটের ইজারাদারের লোক রাসেল বলেন, সকার থেকে স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের রুট পারমিট ও সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী যাত্রী পারাপার করছি।’

বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন ‘সকাল থেকে ঘাটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা প্রতিটি লঞ্চে একশত যাত্রী দিয়ে লঞ্চগুলো ছেড়ে দিচ্ছি। আমরা লঞ্চের চালক, স্টাফদের বলে দিয়েছি যাতে যাত্রীদের সেবার মান সঠিক থাকে।’