আফগানিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেশিরভাগই বিদেশি অ্যাকাউন্টে। তালিবান শাসকদের পক্ষে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নাগাল পাওয়া সম্ভব হবে না। দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর এক টুইটে এ বার্তা দিয়েছেন আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আজমল আহমেদি। কাবুল তালিবানদের দখলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। দেশটির ব্যাংকগুলোয় এখনই ডলারের সরবরাহ কমে যাচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। ফলস্বরূপ প্রতিদিন ডলারের বিপরীতে দর পড়ছে আফগান মুদ্রার।
আহমেদির টুইটের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ৯০০ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে। এর মধ্যে ৭০০ কোটির মতো ডলার রয়েছে নগদ, স্বর্ণ, বন্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভে অন্যান্য বিনিয়োগ আকারে। বাকি অর্থ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্ট এবং সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ব্যাংক ‘ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টে’। কোনো কিছুই আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নেই। আহমেদি জানান, আফগানিস্তানের চলতি হিসাব ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি সপ্তাহে নগদ অর্থের চালান পাওয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। গত কয়েক সপ্তাহে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি হওয়ায় নগদ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে নিম্নমুখী আফগান মুদ্রার মান।
গতকাল বুধবার ডলারপ্রতি পাওয়া যায় ৮৬ আফগান মুদ্রা। গত মঙ্গলবার যা ছিল ৮৩ আফগান মুদ্রা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে দর কমেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে থাকা আফগানিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তালিবানদের দেওয়া হবে না বলে মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তাও রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন। আজমল আহমেদি ধারণা করছেন, আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন স্থানীয় ব্যাংকগুলোয় পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ করতে পারবে না। ফলে স্থানীয় মুদ্রা আফগানির দরপতন অব্যাহত থাকায় মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এর প্রভাবে খাদ্যমূল্য বাড়বে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী।